ভারতের উত্তরাখণ্ডের জোশিমঠ শহরের পর এবার তুঙ্গনাথ শিব মন্দির হেলে পড়েছে। ১২ হাজার ৮০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই মন্দিরটিই বিশ্বের সর্বোচ্চ শিব মন্দির। এই মন্দিরের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (এএসআই)।
এএসআইয়ের গবেষণায় ধরা পড়েছে, গাড়ওয়াল হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এই ঐতিহাসিক মন্দিরটি পাঁচ থেকে ছয় ডিগ্রি কাত হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, মন্দির কমপ্লেক্সে অবস্থিত ছোট ছোট ভবনগুলো প্রায় ১০ ডিগ্রি হেলে গেছে।
এএসআইয়ের দেরাদুন সার্কেলের প্রত্নতত্ত্ববিদ মনোজ কুমার সাক্সেনা বলেছেন, প্রথমে, আমরা ক্ষতির মূল কারণ খুঁজে বের করব। দেখব যদি এটি অবিলম্বে মেরামত করা যায়। তাছাড়া, মন্দিরের পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিদর্শন করার পরে একটি বিস্তারিত অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হবে।
এএসআই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই সরকারকে মন্দিরটির বেহাল অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। সুপারিশ করা হয়েছে, মন্দিরটিকে প্রটেক্টেড মনুমেন্ট বা সংরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
এএসআইয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, সরকার এটিকে জাতীয় গুরুত্বের স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে ঘোষণা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই বিষয়ে জনগণের কারো কোনো আপত্তি আছে কিনা, জানতে চেয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে।
এএসআই কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পর ক্ষতিগ্রস্ত ভিত্তিপ্রস্তরটি প্রতিস্থাপন করা হবে।
এ বিষয়ে বদ্রি কেদার মন্দির কমিটিকে (বিকেটিসি) চিঠিও দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো তাদের কাছ থেকে কোনো জবাব আসেনি।
প্রসঙ্গত, তুঙ্গনাথ মন্দিরের দেখভালের দায়িত্ব বিকেটিসির। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বিকেটিসির সভাপতি অজেন্দ্র অজয় জানিয়েছেন, সম্প্রতি বোর্ডের এক সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সমস্ত স্টেকহোল্ডাররা এএসআইয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা মন্দিরটিকে তার আসল রূপে পুনরুদ্ধার করতে তাদের সহায়তা নিতে প্রস্তুত। কিন্তু এটি তাদের কাছে হস্তান্তর করব না। আমরা শিগগিরই আমাদের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাদের জানাব।
পূর্বকোণ/এসি