চট্টগ্রাম শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ, করোনায়ও বেড়েছে সাক্ষরতার হার

নিজস্ব প্রতিবেদক

৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ | ১২:৫৫ অপরাহ্ণ

মহামারী করোনার মধ্যেও দেশে গত এক বছরে সাক্ষরতার হার প্রায় ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর দেশে সাক্ষরতার হার ছিল ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এবার বেড়ে সেটি দাঁড়িয়েছে ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, বর্তমানে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর অধীনে ১ কোটি ৮০ লাখ নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষরতা প্রদান করা হয়েছে। এ সময় অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কার্যক্রমের আওতায় চলতি বছর থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৯০ হাজার কিশোর-কিশোরী ও বয়স্ক নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে মৌলিক সাক্ষরতা প্রদান করা হবে। যদিও সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সাক্ষরতার হার বাড়লেও দেশের মোট জনসমষ্টির ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ এখনো নিরক্ষর রয়েছেন। সে হিসেবে গত এক দশকে সাক্ষরতার হার ১৬ শতাংশ বেড়েছে। এই বাস্তবতায় সারাবিশ্বের ন্যায় দেশেও আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হচ্ছে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ’লিটারিসি ফর হিউমেন- সেন্টারড রিকোভারি : ন্যারোয়িং দ্যা ডিজিটাল ডিভাইড’। প্রাথমিক এবং গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পর্যায়ে আজ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দিবসটির কর্মসূচি উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনুষ্ঠানটি ভাচর্ূুয়ালি উদ্বোধন করবেন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যুরোর মাধ্যমে মুজিব জন্মশতবার্ষিকীতে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ২১ লাখ নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতা প্রদানের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। একইসাথে, ৮ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত বয়সী বিদ্যালয় হতে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী এবং যারা কখনও স্কুলে পড়াশুনা করেনি এরকম ১০ লাখ শিশুর শিক্ষা প্রদান কার্যক্রম চলমান আছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৭৫.৬ শতাংশ হয়েছে, যা ২০১০ সালে ৫৬.৮ শতাংশ ছিল। মুজিববর্ষে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ২১ লক্ষ নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতা প্রদানের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন আছে। বিদ্যালয় হতে ঝরেপড়া শিক্ষার্থী ও যারা কখনও স্কুলে পড়াশুনা করেনি এমন ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী ১০ লক্ষ শিশুর শিক্ষা প্রদান কার্যক্রম চলমান আছে।
এছাড়া কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কেন্দ্রসমূহ বন্ধ থাকায় ‘সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন’ ও ‘বাংলাদেশ বেতার’-এর মাধ্যমে পাঠদান স¤প্রচার করে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় সম্পৃক্ত রাখা হচ্ছে।
চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষ্যে সরকারি- বেসরকারি সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

 

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট