চট্টগ্রাম রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

সেনা অভ্যুত্থান: কোন পথে এগুচ্ছে মিয়ানমার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ৭:২৮ অপরাহ্ণ

মিয়ানমারে গত বছরের ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় নির্বাচন। বিশাল ব্যবধানে ৩৪৬ টি আসন পেয়ে জয় পায় ২৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা অং সান সূ চির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)।

কিন্তু সেনাবাহিনী সমর্থিত দল, ইউনিয়ন সলিডারিটি এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ইউএসডিপি সুচির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তোলে এবং ভোটের ফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পুনরায় নির্বাচনের দাবি তোলে তারা। শুরু হয় মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার ও ক্ষমতাধর সেনাবাহিনীর মধ্যে টানাপোড়েন।

এ টানাপোড়েনের মধ্যেই সোমবার দ্বিতীয় দফায় সু চির ক্ষমতা গ্রহণের দিনই তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান করে সেনাবাহিনী।

সংসদের ৭৫ শতাংশ সমর্থন ছাড়া দেশের সংবিধান সংশোধন সম্ভব নয়। অথচ সেখানে ২৫ শতাংশই ছিল সেনাদের দখলে। কিন্তু এবার নির্বাচনে ৩৪৬টি আসনে জয় পেয়ে এনএলডি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পথে অনেকটাই এগিয়ে যায়। নির্বাচনের এ ভরাডুবির জেরেই সেনা অভ্যুত্থানের পথ বেছে নেয় তারা।

মিয়ানমারের সাবেক সাংবাদিক ও প্রকৌশলী শিক্ষক এই মিন থান নির্বাচনে সেনাবাহিনীর নির্বাচনে ভরাডুবিকেই তাদের অভ্যুত্থানের কারণ বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, “গত নভেম্বরে সংঘটিত নির্বাচনে সেনাবাহিনী পরাজিত হবে তা কখনো তারা ভাবতে পারে নি। সেনাবাহিনীর নিজ পরিবারের লোকজন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে ভোট দেয়। তাদের এই ফলাফল দেশে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তির আসল চিত্র তুলে ধরেছে।

কোন পথে মিয়ানমার?

ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের এশিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পিএইচডি ফেলো জেরার্ড ম্যাকার্থি বলেন, “চলমান শাসনব্যবস্থা সেনাবাহিনীর জন্য খুবই লাভজনক ছিল। তাদের হাতে নিয়ন্ত্রণ ছিল, ব্যবসায়িক স্বার্থ ছিল। আর তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা আর রোহিঙ্গা নির্মূলের অভিযোগও ঢাকা পড়ে যেত। কিন্তু ক্ষমতা কুক্ষিগত করায় চীনের বাইরের মিত্র দেশগুলোর সমর্থন হারাতে পারে তারা। তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অন্যদিকে অং সান সু চির দলকে যে লাখ লাখ মানুষ ভোট দিয়েছে, তারাও এখন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে পারে।”

তবে বিশ্লেষকরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে বড় ধরনের আন্দোলনের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। তথ্যসূত্র: বিবিসি ও ইন্টারনেট।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন