চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

এআই বিস্তারে বড় ভূমিকা রাখতে চায় স্মার্টফোনের যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারীরা

অনলাইন ডেস্ক

১০ জুন, ২০২৪ | ১১:০৯ অপরাহ্ণ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এদিক থেকে বিভিন্ন কোম্পানি স্মার্টফোনে এ প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতে কাজ করছে। বাজার গবেষণা সংস্থা কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্যানুযায়ী, ব্যবহারকারী বা ভোক্তা পর্যায়ে ব্যাপক হারে এআই পৌঁছে দিতে স্মার্টফোনের মূল যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারীরা (ওইএম) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

 

বর্তমানে এআই প্রযুক্তি ও পণ্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক এআই মডেলগুলো রিয়েল টাইমে সব বিষয় অনুধাবন করতে পারে এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যোগাযোগ করতে পারে। আর এগুলোর মাধ্যমে এআই আরো বিস্তৃত হচ্ছে। জেনারেটিভ এআইয়ের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির কারণে গ্রাহক পর্যায়ে এআই নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এ প্রযুক্তি একজন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত পছন্দ মনে রাখতে পারে এবং সে অনুযায়ী পরিষেবা দিতে পারে। এতে ব্যবহারিক অভিজ্ঞতাতেও বেশ পরিবর্তন আসে। এছাড়া এ প্রযুক্তি ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে শুরু করে ক্যামেরা, ডিসপ্লের কার্যক্রম ও ব্যাটারি কানেক্টিভিটিতেও পরিবর্তন আনে। এগুলো সামগ্রিকভাবে ডিভাইসের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়।

 

এআইয়ের বিভিন্ন সক্ষমতা বা সুবিধা থাকলেও বর্তমানে বিদ্যমান অপারেটিং সিস্টেমে এর ব্যবহার নিশ্চিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডেভেলপাররা। এর মাধ্যমে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার একসঙ্গে কাজ করে থাকে। বিশ্লেষকদের মতে, এদিক থেকে স্মার্টফোনের মূল যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারীরা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এআইয়ের ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারবে।

 

গ্রাহক বা ভোক্তা পর্যায়ের চাহিদা পর্যালোচনার মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেম তৈরিতে স্মার্টফোন ওইএমগুলোর ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। স্মার্টফোনের জন্য ভালো সিস্টেম তৈরিতে তারা চিপ সরবরাহকারীদের সঙ্গে ফাইন টিউন লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএম) নিয়ে কাজ করে। অন্য অর্থে ওইএমগুলো বৈশ্বিক এআই কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কাজ করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ব্যবহারকারীদের কাছে উন্নত এআই প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে গুগল ও মাইক্রোসফটের সঙ্গে কাজ করছে অপো।

 

অন্যদিকে নিজস্ব লার্জ এআই মডেলের উন্নয়নে ওইএমগুলো এখন পর্যন্ত বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। এসব উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে স্মার্টফোনের মূল যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারীরা ডিভাইস ও ক্লাউড হাইব্রিড এআই সম্প্রসারণের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে।

 

বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্টের মতে, চলতি বছর জেনারেটিভ এআইনির্ভর স্মার্টফোন বাজারের বড় অংশ দখলে রাখবে। বছরের দ্বিতীয়ার্ধে জেন এআইনির্ভর বিভিন্ন ফিচার ডিভাইসের পাশাপাশি ক্লাউডেও যুক্ত হবে। এছাড় স্থানীয় পর্যায়ে অনেক স্মার্টফোনে এআই মডেল চালু হবে। কাউন্টারপয়েন্টের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৭ সাল নাগাদ বিশ্বে মোট বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের ৪০ শতাংশই থাকবে জেনএআইনির্ভর। বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের প্রবৃদ্ধি অর্জনে জেনারেটিভ এআইকে ফ্ল্যাগশিপের বাইরে সাধারণ ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছে দিতে হবে। পাশাপাশি ভোক্তা বা গ্রাহককেও এটি মাথায় রাখতে হবে যে, এআইনির্ভর স্মার্টফোন তাদের ভবিষ্যৎ পরিবর্তনে সক্ষম।

 

বিশ্লেষকদের মতে, এ প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতে গ্রাহকদের মতামত গ্রহণ এবং সেভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। এক্ষেত্রে ভোক্তা যত বেশি এআই ব্যবহার করবেন তত ভালো মতামত দিতে পারবেন। এ কারণে মূল যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারীদের আরো বেশি ব্যবহারকারীর কাছে এআই ফিচার পৌঁছে দিতে হবে। বর্তমানে বেশকিছু ওইএম গ্রাহক পর্যায়ে এআই ফিচার পৌঁছে দিতে কাজ করছে। তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা

 

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট