চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

শিশুদের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া

অনলাইন ডেস্ক

২৯ জানুয়ারি, ২০২৪ | ৮:৩৫ অপরাহ্ণ

শৈশবে সামাজিক মাধ্যমের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার শিশুর বিকাশে বিরূপ প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া এমন অসংখ্য সূচকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য ক্ষতিকর বলেও ওঠে এসেছে। এসব কারণ পর্যালোচনায় শিশুর জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া।

 

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস সম্প্রতি নতুন এক বিলের অনুমোদন করেছে; যার অধীনে ১৬ বছর বয়সের কম বয়সী শিশু-কিশোরদের সামাজিক মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার থেকে বিরত রাখবে।

 

মূলত হাউজের এ সিদ্ধান্তে অপ্রাপ্তবয়স্করা এ অ্যাপগুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে থার্ডপার্টির ভেরিফিকেশন হবে। এ আইনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করা অ্যাকাউন্ট থেকে সংগৃহীত ব্যক্তিগত ডাটা স্থায়ীভাবে মুছে ফেলতে হবে। এমনকি কোনো কোম্পানি যদি এ ধরনের আইন মেনে না চলে তাহলে সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলাও করতে পারবেন শিশু কিশোরের বাবা-মা।

 

বিলটির প্রবর্তকরা বলছেন, এ পদক্ষেপটি হতাশা, উদ্বেগ ও সামাজিক মিডিয়ার অত্যধিক ব্যবহার সম্পর্কিত অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে শিশুদের রক্ষা করবে। সোশ্যাল মিডিয়া শিশু-কিশোরদের আসক্তিমূলক আচরণ ও শিশুদের বিশেষভাবে সংবেদনশীল বিষয়বস্তু আছে বলে এর আগে সমালোচিত ছিল।

 

জনস্বাস্থ্যে ঝুঁকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: একই সময়ে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসাবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর। প্রথম বড় শহর হিসাবে পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। ওয়াশিংটন পোস্ট।

 

এক ভাষণে বিষয়টি নিশ্চিত করে শহরটির মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, টিকটক, ইউটিউব, ফেসবুকের মতো সামাজিকমাধ্যম কোম্পানিগুলো বিভিন্ন আসক্তিমূলক ও বিপজ্জনক ফিচার বানিয়ে নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের ইন্ধন দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সামাজিক মাধ্যমকে আনুষ্ঠানিকভাবে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসাবে চিহ্নিত করার জন্য সুপারিশ দাখিল করেছেন নিউইয়র্কের স্বাস্থ্য কমিশনার অশ্বিন ভাসান। বন্দুক ও তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের সার্জন জেনারেল যে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন, সামাজিক মাধ্যমকেও আমরা একই ধরনের জনস্বাস্থ্যঝুঁকি হিসাবে দেখি। আর এটি নিশ্চিতভাবেই বন্ধ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন মেয়র। তথ্যসূত্র: যুগান্তর

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট