জীবনের একটি বড় সময় শিক্ষা অর্জনে ব্যয় হয়। বর্তমানে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভিন্ন প্রয়োজনে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিতে হয়। ফলে শিক্ষা গ্রহণ থেকে শুরু করে অধ্যয়ন সব কাজেই এগিয়ে থাকা যায়। শিক্ষাজীবনে এ রকম বেশকিছু অ্যাপ রয়েছে যেগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে সব কাজ গুছিয়ে নেয়া সম্ভব।
মাইক্রোসফট ওয়াননোট: নোট গ্রহণের জন্য প্রচলিত একটি প্লাটফর্ম হচ্ছে মাইক্রোসফট ওয়াননোট। ক্লাসরুমে বিভিন্ন বিষয়ের লেকচার সহজেই ক্যাটাগরি অনুযায়ী ওয়াননোটে সংরক্ষণ করা সম্ভব। এছাড়া চাইলে এখানে ছবির পাশাপাশি ক্রস-প্লাটফর্ম সিঙ্ক ও অডিও ফাইল রেকর্ডিং যুক্ত করা যাবে।
ওয়ানড্রাইভ: কম্পিউটারে থাকা ডকুমেন্ট ও মাল্টিমিডিয়া ফাইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষণের কাজ করে থাকে ওয়ানড্রাইভ। স্মার্টফোনের মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে এসব ফাইলে প্রবেশ করা যায়। এছাড়া ক্লাস লেকচারে নেয়া নোট পিডিএফে রূপান্তরের জন্যও ওয়ানড্রাইভ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
টিকটিক: শিক্ষার্থী হিসেবে দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজ অসম্পূর্ণ থাকা অন্যতম একটি অংশ। যে কারণে প্রতিদিনের কাজ গুছিয়ে রাখার জন্য বিশ্লেষকরা টিকটিক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এটি টাস্ক ম্যানেজমেন্ট ছাড়াও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহারকারীরা এতে কাজের আলাদা ক্যাটাগরিও তৈরি করতে পারবে।
ফরেস্ট: স্মার্টফোন ব্যবহার করে যেমন ভালো কাজ করা যায় তেমনি এটি সময়ক্ষেপণেও সিদ্ধহস্ত। এ সমস্যা থেকে সমাধান দেবে ফরেস্ট অ্যাপ। গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ ধরে রাখার জন্য অ্যাপটি সহায়তা করে থাকে। পড়াশোনা থেকে শুরু করে পরিবারের সঙ্গে রাতের খাবার খাওয়া সব বিষয় এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
নোশন: ক্লাস নোটের পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্টসহ সব বিষয়ে খোঁজ রাখার জন্য কার্যকর অ্যাপ হচ্ছে নোশন। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের সুবিধা থাকায় নোট থেকে ভালো তথ্য সংগ্রহ সম্ভব। এছাড়া এটি বানান ও তথ্যগত ভুল সংশোধনসহ বিভিন্ন কাজে সহায়তা করবে।
কোরসেরা: ছোট বিষয়ে বিভিন্ন কোর্স সম্পন্ন করে সার্টিফিকেট গ্রহণে বর্তমানে সেরা প্লাটফর্ম হচ্ছে কোরসেরা। এটি একটি অনলাইন লার্নিং প্লাটফর্ম, যেখানে ৭ হাজারের বেশি কোর্স রয়েছে। প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর বা মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য আবেদন করা যাবে।
ব্রেইনলি: যেকোনো বিষয়ে অন্য কারোর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহে বা সমস্যা সমাধানে ব্রেইনলির ব্যবহার আগে থেকেই। এআইয়ের সংস্পর্শে আসার পর অ্যাপটি এখন হোমওয়ার্ক বা অ্যাসাইনমেন্ট দ্রুত শেষ করতে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে থাকে।
অ্যাডোবি স্ক্যান: যেকোনো ধরনের নোট, নথি স্ক্যান করার জন্য অ্যাডোবি স্ক্যান ব্যবহার করা হয়। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অধিকাংশ ডকুমেন্টের ধরন শনাক্ত করতে পারে। স্ক্যান করার পর ব্যবহারকারীরা সুবিধা মতো সেগুলো সম্পাদনা করতে পারবেন।
অ্যালার্মি: বাকি সব কাজ করার জন্য ঠিক সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও ওঠা গুরুত্বপূর্ণ। এদিক থেকে কার্যকর হচ্ছে অ্যালার্মি। অ্যাপটিকে অ্যালার্ম বন্ধের জন্য আলাদা টাস্ক বা কাজ দেয়া হয়। তাই সেগুলোর সমাধান না করে অ্যালার্ম বন্ধ করা সহজ নয়। এর মাধ্যমে ঘুমের ধরন ও সার্বিক প্রতিবেদনও পাওয়া যাবে।
মানি ম্যানেজার: শিক্ষাজীবনে দৈনন্দিন খরচ নিয়ন্ত্রণ আরেকটি বড় বিষয়। এ সময় আয়ের তেমন কোনো মাধ্যম থাকে না। শিক্ষার্থীদের জন্য এ কাজে সহায়ক অ্যাপ হচ্ছে মানি ম্যানেজার। এর মাধ্যমে কোথায় কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে সে বিষয়ে সবকিছু জানা যাবে। তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা
পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ