নাম পরিবর্তন করে মামলার মুখে পড়ল ইলন মাস্কের কোম্পানি। মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফরম টুইটার কিনে নেওয়ার পর নাম পরিবর্তন করে ‘এক্স’ দেওয়া হয়। সেটি নিয়েই বাধে বিপত্তি।
ট্রেডমার্ক আইন লঙ্ঘনের মামলা জটিলতায় পড়েছেন ইলন মাস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে একটি মার্কেটিং সংস্থা সোমবার মামলা ঠুকে দেয় এক্স করপোরেশনের বিরুদ্ধে। রয়টার্স।
এর আগে চলতি বছরের জুলাইয়ে ‘নীল পাখি’ পরিবর্তন করে ‘এক্স’ অক্ষরকে নতুন লোগো হিসাবে নিয়ে আইনি জটিলতার মুখে পড়তে পারে টুইটার-এমনটা জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এ অক্ষরটির ওপর মেটা ও মাইক্রোসফটের মতো কোম্পানিরও মেধাস্বত্ব আছে।
তবে আবারও পরিবর্তন হচ্ছে টুইটার বা এক্স এর নাম? ট্রেডমার্ক মামলার পর এমনটাই প্রশ্ন উঠেছে ব্যবহারকারীদের মনে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মামলায় যদি ইলন মাস্ক হেরে যান তবে অবশ্যই এক্সের নামে পরিবর্তন আসবে সঙ্গে জরিমানাও গুনতে হবে তাদের।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত জুলাইয়ে ইলন মাস্ক টুইটারকে রিব্র্যান্ডিং করে ‘এক্স’ নামকরণ করেন, যা গ্রাহকদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে। কারণ, প্রযুক্তি খাতে ‘এক্স’ বর্ণটি অনেকে ব্যবহার করে। মাইক্রোসফট ও মেটাসহ বিভিন্ন কোম্পানির শত শত ফেডারেল ট্রেডমার্কের মধ্যে ‘এক্স’ বর্ণটি অন্তর্ভুক্ত। যদি এ বিষয়ে এটিই প্রথম মামলা। মাস্কের এক্স করপোরেশন গত মাসে ট্রেডমার্কের জন্য আবেদন করে। তবে মামলার বিষয়ে কোম্পানিটি এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
ফ্লোরিডাভিত্তিক বিজ্ঞাপনী সংস্থা এক্স দেওয়ানি মামলা নিয়ে কাজ করে। মামলায় বলা হয়, সংস্থাটি ২০১৬ সাল থেকে ‘এক্স সোশ্যাল মিডিয়া’ নাম ব্যবহার করছে। এর ট্রেডমার্কের মালিকও এটি। গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন বাবদ ৪০ কোটি ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে এই কোম্পানি।
কোম্পানি দাবি করছে, টুইটারের রিব্র্যান্ডিং তাদের গ্রাহকদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে এবং এর ফলে কোম্পানির আয় কমে যাচ্ছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের কাছে এক্স চিহ্নটি ছড়িয়ে দিতে এক্স করপোরেশন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সর্বস্থরে প্রভাব বিস্তার করছে। তথ্যসূত্র: যুগান্তর
পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ