এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশ্বিক ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেছেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। এর কারণ হিসেবে নতুন এই প্রযুক্তির ‘বিধ্বংসী ক্ষমতা ও এর দ্বিমুখী প্রভাবের’ কথা বলেছেন তিনি।
আসন্ন ‘ওয়ার্ল্ড ডে অফ পিস অফ দ্য ক্যাথলিক চার্চ’ (পয়লা জানুয়ারি) দিবসটির জন্য গেল মঙ্গলবার তিনি একটি সতর্কতামূলক বার্তা প্রকাশ করেছেন। ৮৬ বছর বয়সী ফ্রান্সিস সেখানে লেখেন, এক সময় তিনি জানতেন না “কীভাবে কম্পিউটার ব্যবহার করতে হয়”।
নিজেদের প্রচলিত ধারা অনুসারে রেখে দিনটি আসার অনেক আগেই এই বার্তা প্রকাশ করেছে ভ্যাটিকান। ওই বার্তায় পোপ ‘এআইভিত্তিক ডিভাইস ব্যবহারে মানুষকে সতর্ক থাকার ও কাজ করে যাওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন। আর এই ধরনের ডিভাইস উৎপাদন করতে গিয়ে ‘সহিংসতা বা বৈষম্যের’ মতো ঘটনা যেন না ঘটে, তা নিয়েও উপদেশ দেন পোপ। “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ধারণাটি দায়িত্বশীল উপায়ে ব্যবহার করা উচিৎ যাতে এটি মানবতাকে সেবা দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের গৃহেরও সুরক্ষা দিতে পারে। এ ছাড়া, শিক্ষা ও আইনের ক্ষেত্রেও এর নৈতিক প্রতিফলন বাড়ানো প্রয়োজন।” -উল্লেখ রয়েছে বার্তায়।
২০১৫ সালেও এই ধরনের প্রযুক্তিকে ‘বিপজ্জনক’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। তবে, ইন্টারনেট, সামাজিক মাধ্যম ও টেক্সট মেসেজের মতো সেবাগুলোকে (সঠিক উপায়ে ব্যবহার করলে) ‘ঈশ্বরের আশির্বাদ’ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নৈতিক উপায়ে তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থার প্রচারণায় ও ‘ফেইশল রিকগনিশন’-এর মতো ঝুঁকিপূর্ণ প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে ২০২০ সালে মাইক্রোসফট ও আইবিএম’র মতো টেক জায়ান্টদের সঙ্গে ‘হাত মিলিয়েছে’ ভ্যাটিকান।
পূর্বকোণ/মাহমুদ