
বিটরুট যেন ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের ‘জিপ ফাইল’। এতে পাবেন ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট, রিবোফ্লাবিন (ভিটামিন বি-২) ও পটাশিয়াম, যা হাড় ও পেশিকে রাখে সুস্থ-সবল। এছাড়া এতে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, জিংক, আয়োডিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন সি। বিটরুটে যেসব উপকার মেলে জেনে নিই।
উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ:
একটা বয়সের পর নারীদের মোনোপজ হয়। শরীর তখন বেশি পরিমাণে লবণ শোষণ করে খাবার থেকে। যা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। এতে শুরু হয় বুক ধড়ফড় করা, মাথাব্যাথা এবং উদ্বেগ। চিকিৎসা না করলেই পড়বেন বিপদে। বিটরুট কিন্তু এক্ষেত্রে বেশ উপকারী। গবেষণায় জানা গেছে বিটে রয়েছে নাইট্রেটস, যা রক্তনালী প্রসারিত করে ও রক্তচাপ কমিয়ে দেয়।
জ্বালা পোড়া বা প্রদাহ কমায়:
বিটরুটে থাকা নাইট্রেট রক্তনালীর প্রদাহ কমিয়ে দেয়। নাইট্রেট ছাড়াও বিটে পাবেন বেটালাইনস। এটি এক ধরনের পিগমেন্ট। বেটালাইনসও রক্তনালীর প্রদাহ কমিয়ে দেয়। এই দুটো উপাদান মিলেই আপনার শরীরে রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
হজম শক্তি বাড়ায়:
হজমের সমস্যায় ভুগলে বিট খাওয়া শুরু করে দিন। কারণ, হজম সংক্রান্ত সকল সমস্যা দূর করে বিট। বিট আঁশ জাতীয় খাবার। আঁশ জাতীয় খাবার হজমে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, ডাইভার্টিকুলাইটিস এমনকি কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
শারীরিক শক্তি বাড়ায়:
বয়সের সাথে সাথে শরীরের শক্তি কমে যায়। শরীরের শক্তি বাড়াতে চাইলে আপনাকে সাহায্য করবে বিট। বিট এমনই একটি সবজি যার বহু গুণ। বুড়ো বয়সে নাতি-নাতনির সাথে দৌড়াতে চাইলে খাদ্য তালিকায় বিটরুট যোগ করুন।
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়:
যত দিন যাবে আপনার মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা আস্তে আস্তে কমতে থাকবে। ভুলে যাবেন সবকিছু। এক কাপ বিট খেলেই মিলবে উপকার। বিট মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয় এবং ব্লাড সুগার ঠিক রাখে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়:
কোলন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে বিট খুব ভালো কাজ করে এবং এর ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পিগমেন্টের কারণে ধারণা করা হয় লাল বিট কার্সিনোজেনের বিরুদ্ধে কাজ করে যেটি কোলন ক্যন্সারের জন্য দায়ী।
চোখের যত্ন:
বিট চোখের জন্য খুব উপকারী। এতে থাকা লুটেইন বয়স সম্পর্কিত চোখের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটিতে উদ্ভিদ উৎপাদিত ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে। যা চোখের স্বাস্থ্য এবং চারপাশের স্নায়ু টিস্যুগুলির শক্তি এবং সুস্থতা বাড়ায়।
পূর্বকোণ/ইবনুর