চট্টগ্রাম রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫

আজ গরম চা দিবস

অনলাইন ডেস্ক

১২ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এক কাপ চা দিয়ে দিনের শুরু হয় বেশিরভাগ মানুষেরই। তবে এখন শুধু দুধ চা কিংবা লিকার চা নয়, পাশাপাশি এসেছে আরও ভিন্ন ধরনের সব চা। যেমন- মালাই চা, চকলেট চা, মশলা চাসহ হরেক রকমের চা।

 

পানীয় হিসেবে এসব চায়ের জুড়ি মেলা ভার। ক্লান্ত শরীরটাকে যেন মুহূর্তেই চাঙা করে দেয় এক কাপ চা। আবার অফিসের কাজের চাপে বা ক্লাসের একঘেঁয়েমিতে মস্তিষ্ক যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখনও ভরসা সেই গরম চা।

 

গরম চায়ে চুমুক দিন আরও বেশি আনন্দের সঙ্গে; কারণ আজ ১২ জানুয়ারি ‘গরম চা দিবস’ বা ‘হট টি ডে’। দিবসটির প্রচলন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯৫০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের চা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সালে এই কাউন্সিলই এ দিবসের প্রচলন করে বলে জানা যায়।

 

বাংলাদেশিদের চায়ের অভ্যাস শুরু হয় ব্রিটিশ শাসনামল থেকে। তখন স্থানীয় বাজারে চায়ের খুব বেশি চাহিদা ছিল না। বাগানের উৎপাদিত বেশিরভাগ চা ব্রিটেনে রপ্তানি হতো। এছাড়া তখন এ অঞ্চলে থাকা ব্রিটিশ বা ইউরোপীয় লোকজন চা খেতেন, স্থানীয় অভিজাত গোষ্ঠীও চা খেতে শুরু করেছিলেন। তখনও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে চায়ের জনপ্রিয়তা তৈরি হয়নি।

 

১৯৪৭ সালে এ অঞ্চলে প্রায় ১৮ মিলিয়ন কেজির মতো চা উৎপাদিত হতো। তার প্রায় ১৫ মিলিয়নই রপ্তানি হতো, তিন মিলিয়ন কেজির মতো এখানে খাওয়া হতো। ১৯৭১ সালে সেই উৎপাদন এসে দাঁড়ায় ৩১ মিলিয়ন কেজিতে।

 

১৮ শতকের প্রথমভাগে ভারতবর্ষের আসাম ও আশপাশের এলাকায় চা চাষ শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে চা আবাদের জন্য ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে জমি বরাদ্দ হয়। ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান চট্টগ্রাম ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় একটি চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা কুণ্ডুদের বাগান নামে পরিচিত। ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে সিলেট শহরের এয়ারপোর্ট রোডের কাছে মালনিছড়া চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

চা প্রথম আবিষ্কার করেন চীনা সম্রাট শেন নাং, খ্রিস্টপূর্ব ২৭৩৭ সালে। ওই সময় তার গরম পানির পাত্রে বুনো গাছের কিছু পাতা পড়ে, তিনি যেটি পান করলেন সেটিই চা। পৃথিবীতে আনুমানিক ৩ হাজার জাতের চা আছে। পানি বাদ দিলে চা হলো পৃথিবীতে বেশি পান করা পানীয়।

 

পূর্বকোণ/মাহমুদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট