চট্টগ্রাম রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

ডিমের পুষ্টিগুণ: মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ জুলাই, ২০২৪ | ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ

ডিম সহজে হজম হয় বলে এটি একটি আদর্শ পুষ্টিকর খাবার। শারীরিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তি ডিম খেলে পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয় এবং আরোগ্য লাভ করে। একটি ডিমের সাদা অংশের মধ্যে পানি ৮৮ দশমিক ০ শতাংশ, প্রোটিন বা আমিষ ১১ দশমিক ০শতাংশ, চর্বি ০দশমিক ২ শতাংশ এবং খনিজ পদার্থ ০ দশমিক ৮ শতাংশ আছে। এছাড়া হলুদ অংশে ৪৮ দশমিক ০ শতাংশ পানি, ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রোটিন বা আমিষ, ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ চর্বি এবং ২ দমমিক ০ শতাংশ খনিজ পদার্থ আছে। একারণে ডিমের কুসুম রিউম্যাটিক জ্বরকে প্রশমিত করে। পিউরিন নেই বলে বাতের রোগীরা সহজেই ডিম খেতে পারে। গর্ভবতী মায়েদের প্রতিদিন একটি অথবা দুটি ডিম খাওয়া উচিত। তাহলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয় না। শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধি, ক্ষয়পূরণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেশ উপকারী।

 

ডিমের সাদা অংশে আছে অবিমিশ্র প্রোটিন। যা মূলত অ্যালবুমিন। রক্তে যখন অ্যালবুমিন কমে যায়, তখন ডিমের অ্যালবুমিন বা সাদা অংশ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। যেসব মহিলা সপ্তাহে কমপক্ষে ৬টি ডিম খায় তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কমে যায়। কুসুমে কোলিন নামক একটি প্রোটিন থাকে, যা মস্তিষ্ক গঠনে ভূমিকা রাখে। ডিমের একটি প্রধান খাদ্য উপাদান ভিটামিন-এ। ভিটামিন-এ রেটিনায় আলো শুষে নিতে সহায়তা করে, কর্নিয়ার পাশের মেমব্রেনকে রক্ষা করে এবং রাতকানার ঝুঁঁকি কমায়। মহিলাদের প্রতিদিন ৭০০ মাইক্রোগ্রাম ও পুরুষদের প্রতিদিন ৯০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-এ প্রয়োজন। যা ডিম থেকে পাওয়া যায়। ডিমের ওপরের খোসার রঙের জন্য পুষ্টিগুণের কোনো তারতম্য হয় না। অনেকের ধারণা, হাঁসের চেয়ে মুরগির ডিম অধিক পুষ্টিকর। আসলে হাঁসের চেয়ে মুরগির ডিম সুস্বাদু হলেও পুষ্টির দিক থেকে উভয়ে সমান।

 

তবে যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে তাদের ডিমের কুসুম না খাওয়াই ভালো। ডিম পুষ্টিকর হলেও এর মধ্যে ভিটামিন-সি একেবারেই নেই। কাঁচা ডিম রান্না করা ডিমের চেয়ে পুষ্টিকর হলেও ডিম কখনো কাঁচা খাওয়া উচিত নয়।

পূর্বকোণ/এসএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট