মাঝে মাঝে স্টেক আর স্ট্যু বাদ দিলে বাংলাদেশের হাই ক্লাস কালচার থেকে রেড মিট এক প্রকার উঠেই গেছে হার্ট এটাকের ভয়ে, to no avail at all.
রেড মিট কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজের জন্য কোন ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিস্ক ফ্যাক্টর না, যা সরাসরি কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজের ওপর প্রভাব ফেলে। মানে, রেড মিট খেয়েও হেলদি লাইফ লিড করা যায়।
কিন্তু কিভাবে?
সিম্পল।
এই ৭টা কাজ করবেন:
১) চিনি, ধুমপান, এলকোহলের ধারে কাছেও যাবেন না, একান্তই মিষ্টি বা চিনি খেতে হলে, সপ্তাহে একবার। ধুমপান কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজের সবচেয়ে বড় কারণ।
২) সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার, স্যাফ্লাওয়ার, রাইস বর্যান তেলের বদলে খান এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েল কুকিং অয়েল হিসেবে ভালো না এমন একটা ব্যাপার আছে, কিন্তু ২০২০ সালে একটা বিখ্যাত স্টাডি হয়, বার্সেলোনা স্টাডি। এই স্টাডি থেকে আমরা জানতে পারি, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে থাকা পলিফেনলিক এন্টি অক্সিড্যান্ট কম্পাউন্ডের পরিমাণ সাধারণ কুকিং অয়েলের প্রায় ৫ গুণ হওয়ায় রান্না শেষেও এতে যথেষ্ট এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে যার পুষ্টিমাণ অক্ষুন্ন থাকে। এর প্রধান কারণ হল মনো আনস্যাচুরেটেড অলিক এসিড, যা অলিভ অয়েলের প্রধান কম্পাউন্ড, এটা হাই হিটেও সহজে অক্সিডাইজড হয় না।
৩) রিফাইন্ড কার্ব খাবেন না এবং দিনে একবেলার বেশি কার্ব খাবেন না। এটা একদম গোল্ডেন রুল।
৪) রাত ১১টার ভেতর ঘুমাতে যাবেন।
৫) দিনে ১০ হাজার স্টেপ হাটবেন, সাথে সপ্তাহে অন্তত ২ দিন স্ট্রেন্থ ট্রেইনিং।
৬) নিয়মিত ভিটামিন সি, ডি ও ম্যাগনেসিয়াম নেবেন।
৭) রোদে যাবেন রোজ অন্তত ৩০ মিনিটের জন্য, আর শ্বাস নেবেন নাক দিয়ে, যেটাকে বলে স্পন্টেনাস, কনশাস নেজাল ব্রিদিং।
এরপর যদি দিনে ৫০০ গ্রাম স্টেরয়েড-এস্ট্রোজেন-গ্রোথ হরমোন মুক্ত প্রাণীর রেড মিটও খান, ইনশাআল্লাহ কোলেস্টেরল-প্রেসার কন্ট্রোলে থাকবে।
বিঃদ্রঃ
যারা অলরেডি বিভিন্ন মেটাবলিক-এন্ডোক্রাইন ডিজিজে ভুগছেন বা যারা কমার্শিয়ালি বড় করা গরুর (ক্যাফো) মিট খান, তাদের জন্য এই পোস্ট প্রযোজ্য নয়।
লেখক: ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ