শীতকালে ঠাণ্ডা, কাশি, সর্দি ইত্যাদি খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তবে খাবার তালিকায় কিছুটা পরিবর্তন এনে এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়।
প্রাইম হেলথ ডটকো. ডটইউকে’তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ইংল্যান্ডের ওয়েব্রিজ’য়ে অবস্থিত প্রাইম হেল্থ সারে’র পুষ্টিবিদ র্যাচেল ভ্যালিস বলেন, “এর মানে হল শীতকালে প্রায় সব ধরনের শারীরিক সমস্যায় অল্পতেই সেরে ওঠার চেষ্টা করতে হবে।” সেজন্য খাবার আর বিশ্রামের দিকে নজর রাখতে হবে।
সুষম খাবার খাওয়া: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে সঠিক পুষ্টি। ভিটামিন এ, বি৬, বি১২, সি এবং ডি ছাড়াও কপার, ফোলেইট, লৌহ, সেলেনিয়াম এবং জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। সুষম খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে ফল, সবজি, চর্বিহীন মাংস, দুগ্ধজাতীয় খাবার, গোটা শস্য, বাদাম এবং বীজ গ্রহণ করার মাধ্যমে পুষ্টি গ্রহণ করা যায়।
ভিটামিন ডি’র মাত্রা বাড়ানো: হাড়, দাঁত এবং পেশি সুস্থ রাখতে ভিটামিন ডি উপকারী। ভিটামিন ডি সাধারণত আমরা সূর্যালোক ও কিছু খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করে থাকি। শীতকালে দেহে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি দেখা যায়। তাই এই সময় ১০ মাইক্রো গ্রামের সম্পূরক ভিটামিন ডি গ্রহণ দেহে এর ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। সাধারণত যারা দিনের অধিকাংশ সময় ঘরে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে বেশি প্রয়োজন। কেননা তারা পর্যাপ্ত সূর্যালোক পায় না।
শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শক্তি বৃদ্ধি করা দরকার অর্থাৎ পর্যাপ্ত ক্যালরি গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। শ্বেতসার ধরনের কার্বোহাইড্রেইট যেমন- বাদামি চাল এবং আলু, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন- মাংস, মাছ, মটর ও সামান্য পরিমাণ তেল থেকে পাওয়া চর্বি খাওয়ার মাধ্যমে দেহে শক্তির চাহিদা পূরণ করা যায়।
ঘুমের গুরুত্ব: কোনোভাবে ঘুমের ঘাটতি সৃষ্টি করা উচিত নয়। কারণ ঘুমের ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে। শীতকাল ছুটির মৌসুম। এই সময় অনেক ক্ষেত্রেই ঘুমচক্রের অনিয়ম ঘটে থাকে তাই সচেতন থাকা প্রয়োজন।
আর্দ্র থাকা: অনেকেই উষ্ণ থাকতে অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করে থাকেন। তবে এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। শরীর আর্দ্র রাখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা প্রয়োজন, এটা সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে।
পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ