চট্টগ্রাম সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

শীতে ব্যথামুক্ত থাকতে যা করবেন

অনলাইন ডেস্ক

৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ৮:৪৩ অপরাহ্ণ

শীতকালে বেশ কয়েকটি কারণে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ব্যথা বেড়ে যায়। এ সময়ে বিভিন্ন জয়েন্টের ভেতরে থাকা তরল পদার্থ বা সাইনোভিয়াল ফ্লুইডের ঘনত্ব বেড়ে যায়, অন্যদিকে বায়ুমণ্ডলের চাপ কমে যায়। এ কারণে বিশেষ করে হাঁটুর জয়েন্টে আমাদের শরীরের ওজন বেশি অনুভূত হয়। যাদের শরীরের ওজন বেশি তাদের বেশি সমস্যা হয়।

 

শীতকালে বাতজাতীয় সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। বাতের সমস্যায় মূলত আমাদের শরীরের ছোট-বড় বিভিন্ন জয়েন্টে প্রদাহজনিত সমস্যা তৈরি হয়। বায়ুমণ্ডলের চাপ কমে যাওয়ায় জয়েন্টগুলো ফুলে যায়। এ ছাড়া এই সময়ে জয়েন্টের তরল পদার্থ কমে জয়েন্টগুলো শক্ত হয়ে যায়, যে কারণে নড়াচড়া করতে গেলেই ব্যথা অনুভূত হয়।

 

শীতকালে বয়স্কদের আড়ষ্টতা এবং শরীরের জয়েন্টগুলোর নড়াচড়া না হওয়ায় জয়েন্টগুলো স্টিফ বা শক্ত হয়ে যায়। আর এ কারণেই যখনই তাঁরা নড়াচড়া করতে চান তখনই ব্যথা অনুভব করেন। এ ছাড়া আঘাতজনিত ব্যথা যেকোনো সময়ই হতে পারে। তবে শীতকালে অল্প আঘাতেই যেন বেশি ব্যথা অনুভূত হয়।

 

ব্যথামুক্ত থাকতে করণীয়:

১) নিজেকে সক্রিয় বা কর্মক্ষম রাখলে শরীরের রক্ত চলাচল ঠিক থাকবে এবং ব্যথামুক্ত থাকা যাবে। নিয়মিতভাবে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করা ভালো।
২) ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েডজনিত সমস্যা বা অন্য যেকোনো হরমোনজনিত সমস্যা থাকলে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

 

৩) বয়স্কদের জয়েন্ট নড়াচড়া করতে হবে। প্রয়োজনে লোশন মালিশ করতে হবে। এতে ত্বকের রুক্ষতা কমবে, একই সঙ্গে মাংসপেশির রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
৪) শীতকালীন ব্যথায় গরম সেঁক আরাম দেয়। এতে মাংসপেশির রক্ত চলাচল এবং জয়েন্টগুলোর কর্মক্ষমতাও বাড়ে। সেঁকের জন্য গরম পানি বা গরম কাপড় যেকোনোটি ব্যবহার করা যায়।

 

৫) যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি অস্টিওআর্থ্রাইটিস সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ওজন নিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ওজন যত বেশি থাকবে হাঁটুর জয়েন্টের ওপর চাপ তত বেশি হবে এবং জয়েন্টের ভেতরের পাতলা আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের সমস্যা বেড়ে যাবে।
৬) ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার (দুধ, পনির, মাশরুম) খান। এগুলো আমাদের হাড়ের গঠন এবং ক্যালসিয়ামের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা পালন করে। একই সঙ্গে শর্করাজাতীয় খাবার কম খেয়ে আমিষ ও ফাইবারজাতীয় খাবার বেশি খেয়ে আমাদের ওজন ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে।

 

৭) ঘুমানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শক্ত বা অতিরিক্ত নরম বিছানা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক তোশকের বিছানা ব্যবহার করতে পারেন।

পরামর্শ দিয়েছন: ডা. মো. আহাদ হোসেন, কনসালট্যান্ট ও ব্যথা বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ সেন্টার ফর রিহ্যাবিলিটেশন, ঢাকা।

 

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট