চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

মুখের ক্যান্সারের কারণ ও চিকিৎসা

অনলাইন ডেস্ক

৩১ অক্টোবর, ২০২৩ | ৯:৪০ অপরাহ্ণ

মুখের ক্যান্সার শারীরিক অন্যান্য স্থানের ক্যান্সারের মধ্যে অন্যতম। এটি সাধারণত ঠোঁট, মাড়ি, জিহ্বা, গালের ভেতরের আবরণ, তালু, লালা গ্রন্থি ও টনসিলে হয়ে থাকে। মুখের ক্যান্সারের হার নারীদের তুলনায় পুরুষের দ্বিগুণ হয়।

 

কারণ: মুখের ক্যান্সারের জন্য কিছু ঝুঁকিপূর্ণ কারণ রয়েছে, সেগুলো হলো:

১) পান, বিড়ি, সিগারেট, সাদা পাতা, জর্দা, গুল ইত্যাদি তামাকজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করা

২) অতিরিক্ত অ্যালকোহলে আসক্তি

৩) ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস

৪) পুষ্টিহীনতা

৫) মুখের ক্যান্সারের পূর্ব ইতিহাস

৬) ঠোঁট অতিরিক্ত সূর্যের সংস্পর্শে আসা

৭) এইচপিভি নামক একটি যৌন সংক্রমিত ভাইরাস

৮) দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জেনেটিক কারণ

 

লক্ষণ:

১) মুখের ঘা নিরাময়ে ব্যর্থতা

২) মুখে রক্তক্ষরণ

৩) মুখে আলগা দাঁত ও মাড়ি বিদ্যমান থাকা

৪) ধারালো দাঁত

৫) জিহ্বা ফোলা, যার ফলে ব্যথা হয়

৬) চিবাতে অসুবিধা বা ব্যথা হওয়া

৭) গিলতে কষ্ট হওয়া

৮) ওজন হ্রাস পাওয়া

৯) মুখে লাল-সাদা দাগ থাকা

 

মুখের ক্যান্সারের চিকিৎসা: মুখের ক্যান্সারের চিকিৎসাপদ্ধতি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। মুখের ক্যান্সারের চিকিৎসা সার্জারি, রেডিওথেরাপি বা কেমোথেরাপির মাধ্যমে করা হয়।

সার্জারি: এ ক্ষেত্রে ক্যান্সার কোষসহ ভালো কিছু কোষ অপসারণ করা হয়।

কেমোথেরাপি: এই প্রক্রিয়ায় সাধারণত ইনজেকশনের মাধ্যমে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।

 

রেডিওথেরাপি: ক্যান্সার চিকিৎসায় রেডিয়েশন থেরাপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ক্ষেত্রে আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি দ্বারা অকার্যকর কোষ নষ্ট করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে পুষ্টিকর খাবার খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। ক্যান্সারের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে কারণগুলো নির্ভর করে লক্ষণ বুঝে দ্রুত চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে।

পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. অনুপম পোদ্দার, অধ্যক্ষ, খুলনা ডেন্টাল কলেজ।

 

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট