চলতি বছর এখন পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখের বেশি মানুষ। কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকলে এই রোগে শিশু মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব।
বেশির ভাগ ডেঙ্গু রোগী এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তবে নির্দিষ্ট কিছু লক্ষণ দেখলে ডেঙ্গু রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে। এর জন্য চিনে রাখতে হবে ডেঙ্গুর মারাত্মক কিছু লক্ষণ:
ডেঙ্গুর লক্ষণ দুই ধরনের হয়ে থাকে:
সাধারণ লক্ষণ: জ্বর, মাথা ব্যথা, চোখ ব্যথা, শরীর ব্যথা, গায়ে লাল লাল র্যাশ, বমি।
মারাত্মক লক্ষণ: প্রস্রাব কমে যাওয়া বা ৬ ঘণ্টা প্রস্রাব না হওয়া, প্রচণ্ড পেটে ব্যথা, নাক বা দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া, রক্ত বমি, প্রস্রাবে রক্ত, কালো পায়খানা, একটানা বমি হওয়া, নিস্তেজ হয়ে যাওয়া, হঠাৎ আচরণে পরিবর্তন, ঘুম ঘুম ভাব, অত্যধিক পানির পিপাসা, অনবরত কান্না (শিশুর ক্ষেত্রে), ফ্যাকাসে ভাব, হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, হাত, পা, পেট ও ফুসফুসে পানি আসা।
যখন সতর্ক হতে হবে: ডেঙ্গুতে সাধারণত প্রেসার কমে যায়। ডেঙ্গুতে প্রেসার কমে যাওয়া অবশ্যই একটি খারাপ লক্ষণ। এ অবস্থায় পর্যাপ্ত ফ্লুইড দেওয়ার জন্য হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যাওয়া অতীব জরুরি। প্রস্রাব কম হলে বা পালসের গতি বেড়ে গেলে ধরে নিতে হবে রোগী খারাপের দিকে যাচ্ছে।
যাদের ঝুঁকি বেশি: স্থূলকায় শিশু, এক বছরের কম বয়সী শিশু, ক্রনিক লিভার ডিজিজ, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশু, স্থূলকায় শিশুদের প্রেশার সঠিকভাবে মাপা যায় না। তাই তাদের ব্যাপারে বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
শিশুকে যা খাওয়াবেন: শুধু ডাবের পানিই খাওয়াতে হবে এমন কোনো কথা নেই। যেকোনো ফলের রস, পাতলা ডালের পানি, পাতলা স্যুপ ও পাতলা ফলের রস খাওয়ানো যাবে। শিশুর যত কেজি ওজন তার দেড় গুণ তরল খাওয়াতে হবে প্রতি ঘণ্টায়। যদি ওজন ২০ কেজি হয় তাহলে ৩০ মিলিলিটার তরল খাওয়াতে হবে প্রতি ঘণ্টায়।
পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. এম আর খান, শিশু হসপিটাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ, ঢাকা।
পূর্বকোণ/সাফা