চট্টগ্রামে হৃদরোগীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা সেবায় হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়ার কথা জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগ গত ১৫ বছরে ১০ হাজার হৃদরোগীর এনজিওগ্রাম করেছে।সোমবার এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ হাসপাতালে স্বল্পমূল্যে এনজিওগ্রাম করানোর উদাহরণ দিয়ে হৃদরোগ বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. লক্ষ¥ীপদ দাশ বলেন, ‘চমেক হাসপাতালে বর্তমানে এনজিওগ্রাম করানোর সরকারি খরচ দুই হাজার টাকা। এর বাইরে ওষুধ খরচ বাবদ সাড়ে তিন হাজার টাকা লাগে। সবমিলিয়ে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে হাসপাতালে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে এনজিওগ্রাম করানো যায় বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে বলা হয়, নগরীর বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এনজিওগ্রাম করাতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। রোগীরা এখন এনজিওগ্রাম করাতে বিদেশে যান না উল্লেখ করে চমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ডা. প্রবীর কুমার দাশ বলেন, আশির দশকে সমাজের উচ্চ শ্রেণির লোকজন দেশের বাইরে গিয়ে এনজিওগ্রাম করে আসতো। এখন আর সে অবস্থা নেই। ‘চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই এ অঞ্চলের প্রথম এনজিওগ্রাম মেশিন এনেছিল। পবর্তীতে অন্যান্য প্রাইভেট হাসপাতাল বা ল্যাবে ওই সার্ভিস চালু হয়।”
গত ১৫ বছরে চমেক হাসপাতালারে হৃদরোগ বিভাগে প্রায় সাতশ রোগীর দেহে রিং বসানো হয়েছে বলে জানানো হয় অনুষ্ঠানে। প্রবীর কুমার দাশ বলেন, ‘২০১৫ সালে এনজিওগ্রাম পরীক্ষা হয়েছে ৬৪৩ জন রোগীর, এর মধ্যে রিং পড়ানো হয় ২৮ জনের। ২০১৬ সালে এনজিওগ্রাম হয় ৮৩১ জনের, রিং পড়ানো হয় ২৫ জনের।
‘২০১৭ সালে এক হাজার ১৫৬ জনের এনজিওগ্রাম পরীক্ষার পাশাপাশি রিং লাগানো হয় ১৬২ রোগীর।’
এছাড়াও গত বছর এক হাজার ৩৯৩ জনের এনজিওগ্রাম পরীক্ষার সাথে রিং লাগানো হয় ২০২ জনের বলে জানান তিনি। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে ৬৬৪ জনের এবং রিং লাগানো হয়েছে ৬৩ জনের। অনুষ্ঠানে চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘হৃদরোগ বিভাগের উন্নয়নে আমরা অনেক কাজ করেছি। ওয়ার্ড সম্প্রসারণ করেছি। বিভাগের ইকোকার্ডিওগ্রাফি মেশিনের সংকট রয়েছে। মে মাসের মধ্যে এটি আসবে। আগামী বছর আরেকটি দেওয়া হবে’।অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হৃদরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আশীষ দে, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ইব্রাহিম চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক ডা. নরেশ চন্দ্র রায়, ডা. বিপ্লব ভট্টাচার্য্য, ডা. সালেহ উদ্দিন সিদ্দিকী, ডা. নুর উদ্দিন তারেক, ডা. নুরউদ্দিন জাহাঙ্গীর, ডা. আনিসুল আউয়াল, ডা. রিজোয়ান রেহান, ডা. সন্দিপন দাশ, ডা. আবুল হোসেন শাহীন। -বিডিনিউজ