
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়ায় ডলারের বিনিময় হার কমল ২ টাকা ২০ পয়সা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, সোমবার (১৪ জুলাই) আন্তঃব্যাংকিং ডলারের বিনিময় মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২০ টাকা ১০ পয়সা, যা গত ৯ জুলাই ছিল ১২২ টাকা ৩০ পয়সা।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান শুল্ক আলোচনার অগ্রগতি এবং আমদানি চাহিদা কমে যাওয়ায় ডলারের দরপতনে ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
২০২২ সালে কোভিডের প্রভাবে বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে টাকার অবমূল্যায়ন শুরু হয়। এরপর থেকে টাকার মান এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে।
তবে সাম্প্রতিক টাকার মান বৃদ্ধির পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে আছে, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়া, হুন্ডি ও মানি লন্ডারিং কমা ও ঋণদাতাদের অর্থ ছাড়।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ডলারের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। মাত্র দুই কার্যদিবসে ডলার-টাকার বিনিময় হার দুই দফা রেকর্ড ভেঙে ১২৮ টাকায় পৌঁছায়। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপে ডলারের দর কমে আসে। তখন অস্বাভাবিক দামে রেমিট্যান্স কেনার অভিযোগে ১৩টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়।
ডলারের দাম দ্রুত কমতে থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৩ জুলাই প্রথমবারের মতো বাজার থেকে ডলার কেনে। নতুন ব্যবস্থার অধীনে ১৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ১৭১ মিলিয়ন ডলার কেনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি আইএমএফ-এর শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারভিত্তিক বিনিময় হার ব্যবস্থা প্রবর্তন করে। যে পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্টরা নিজেদের মধ্যে দর ঠিক করে ডলার লেনদেন করতে পারে। এরপর থেকেই ডলারের দর কমতে শুরু করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গত ১০ জুলাই পর্যন্ত রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ২১ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার।
পূর্বকোণ/পারভেজ