গ্রাহকদের চাহিদা কমে যাওয়ায় গরুর মাংসের দাম কেজিতে প্রায় ২০০ টাকা কমেছে। এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে। তবে ভোক্তা অধিকার বলছে, উৎপাদন খরচ বিবেচনায় গরুর মাংসের দাম ৫০০ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীতে মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংস্থাটির এক মত বিনিময় সভায় এ কথা বলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
মহাপরিচালক বলেন, বর্তমানে রাজধানীর বেশিরভাগ বাজারে ৬০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হলেও, তা একশো টাকা কমানো সম্ভব। যৌক্তিক দর নির্ধারণে ডেইরি ফার্মারর্স অ্যাসোসিয়েশন ও মাংস ব্যবসায়ী সমিতিকে তাগিদও দেন তিনি।
খাদ্যপণ্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতিতে, গরুর মাংসের দামও এক পর্যায়ে চলে যায় সাধারণের নাগালের বাইরে। কেজিপ্রতি দাম ছাড়িয়ে যায় ৮০০ টাকার ওপরে। এক পর্যায়ে কমতে থাকে গরুর মাংসের চাহিদা। ফলে গত নভেম্বরের শেষের দিকে কমে আসতে শুরু করে দাম। এখন বাজার ভেদে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে।
এ পর্যায়ে বাজারে সহনীয় রাখতে, সব পক্ষকে নিয়ে মতবিনিময়ে বসে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় উৎপাদন খরচ ও বাজারদরের বিস্তর ব্যবধান তুলে ধরে ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাব। অন্যদিকে, দাম কমালে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা।
বাজার নিয়ন্ত্রণে যথাযথ উদ্যোগের তাগিদ দিয়ে ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক জানান, ব্যবসায়ীদের সদিচ্ছা থাকলে দাম কমানো সম্ভব।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘বিভিন্ন পকেটে পকেটে এখানে সামহাউ বাজারটাকে অস্থির করে দিচ্ছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এবং গত জুলাইয়ে আমরা যখন মিটিং করেছি তখন কোনো অবস্থাতেই ৬০০ টাকার বেশি গরুর মাংসের দাম হওয়া উচিত ছিল না। আমরা যদি এই প্রতিকারগুলো নিই তাহলে বাংলাদেশে বসেই গরুর মাংসের দাম ৫০০ টাকা রাখা সম্ভব।’
গরুর মাংসের দাম নির্ধারণে আগামী বুধবার বৈঠকে বসবে ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন ও মাংস ব্যবসায়ী সমিতি।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ