চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

আমদানিকৃত উপকরণের অগ্রিমকর শূন্য হারে নির্ধারণ চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ মে, ২০২৩ | ১২:৪১ অপরাহ্ণ

বর্তমানে কারখানার আমদানিকৃত উপকরণের উপর আদায়কৃত অগ্রিমকর সমন্বয়ের জন্য মূল্য সংযোজন প্রয়োজন যা প্রায় ২০ শতাংশ। এটি উৎপাদনমুখী শিল্পের ক্ষেত্রে অনেকাংশেই দুরূহ। অন্যদিকে ওই আমদানিকৃত পণ্য যদি অবিক্রিত থাকে বা অপচয় হয়, সেক্ষেত্রে পরিশোধিত অগ্রিমকর সমন্বয় যোগ্য নয়। উৎপাদনকারী ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে পরিশোধকৃত অগ্রিমকর সমন্বয়ের জন্য প্রায় ৩৩ শতাংশ মূল্য সংযোজন প্রয়োজন। যা অনেকাংশেই দুরূহ ও অবাস্তব। তাই বাজেটে এই আমদানিকৃত উপকরণের অগ্রিমকর শূন্য হারে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ২ শতাংশ হারে পুনঃনির্ধারণের প্রস্তাব করছি।

 

পূর্বকোণ প্রতিনিধির সাথে আসন্ন বাজেট (২০২৩-২৪) প্রসঙ্গে আলাপকালে ‘বাজেট ভাবনা’য় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি খলিলুর রহমান এই প্রস্তাবের কথা জানান। এদিকে আয়কর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোর আয়ের উপর উৎসে কর হার ৮ শতাংশ। বর্তমান বৈশি^ক অস্থিরতা, করোনার হিং¯্র থাবা, যুদ্ধ বিধ্বস্ত বিশ্ব অর্থনীতি ইত্যাদি সামগ্রিক প্রভাবে দেশের বাণিজ্য অনেকটাই স্থবির অবন্থায় আছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ডিপোগুলোর আয়ের উপর ৮% করহার দেশের এই অপার সম্ভাবনাময় এবং গুরুত্বপূর্ণ খাতকে বাধাগ্রস্ত করে। এটি কমিয়ে ২% হারে হ্রাস করতে হবে। পাশাপাশি রেডিমেড গার্মেন্টসের আয়ের উপর উৎসে কর হার ১%। এটি আরএমজি ব্যবসায়িক বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করে দেশের বিদ্যমান বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে। এটি হ্রাস করে ০.৩০% ধার্য ও  অনুমান নির্ভর কর নির্ধারণ বন্ধ করতে হবে।

 

যেকোনো পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এইচ.এস কোড অনুযায়ী ধার্যকৃত কাস্টমস ডিউটি, সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি, মূল্য সংযোজন কর, অগ্রীম আয়কর, রেগুলেটরি ডিউটি প্রভৃতি একত্রিত হয়ে মোট আমদানি শুল্ক ধার্য করা হয়ে থাকে।

 

প্রাইভেট ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোগুলো আমদানিকৃত বিভিন্ন ভাড়ি সরঞ্জাম ও বাহন ব্যবহার করে থাকে যা কাঁচামাল থেকে শুরু করে উৎপাদিত পণ্য পর্যন্ত সব ধরনের পণ্য চলাচলের কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই প্রাইভেট আইসিডিগুলোর ক্ষেত্রে ওইসব ভারী সরঞ্জাম আমদানি শুল্কের হার হ্রাস করতে হবে। ভ্রমণ কর প্রসঙ্গে খলিলুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারী সড়কপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা এবং নৌ-পথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ৮০০ টাকা ভ্রমণ কর জমার বিধান রয়েছে। আকাশ পথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে তদ্রুপ ৮০০-৪০০০ টাকা পর্যন্ত গন্তব্যের উপর কর ধার্য রয়েছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে সরকারের মোট রাজস্ব আদায়ে ভ্রমণকর খাতে সড়ক ও নৌ-পথ এবং আকাশ পথ থেকে আয় হয় যথাক্রমে ১২% এবং ৮৮%। ২০২০ সাল থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ভ্রমণকারী সোনালী ব্যাংকের শাখাগুলোতে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্যক্তির ক্ষেত্রে শিক্ষা, চিকিৎসা, হজ বা তীর্থ যাত্রার উদ্দেশ্যে ভ্রমণকর হার- শূন্য; পর্যটনের উদ্দেশ্যে ভ্রমণকর বর্তমান হার থেকে সর্বোচ্চ ২০০% পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে অথবা এয়ার টিকিট মূল্যের ১০% নির্ধারণ করা যেতে পারে।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট