পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ঠিকানা’ নির্মাণের জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারের অনুদান পেলেন প্রযোজক ও পরিচালক আনোয়ার হোসেন পিন্টু। তিনি সাধারণ শাখায় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ঠিকানা’ নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদান পেয়েছেন। শওকত আলী’র ‘পাকা দেখা’ উপন্যাস অবলম্বনে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ঠিকানা’র চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করবেন আনোয়ার হোসেন পিন্টু।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে মোট ১০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দুটি, শিশুতোষ দুটি ও সাধারণ শাখায় ছয়টি সিনেমায় অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত রবিবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ২০২২-২৩ অর্থবছরের অনুদান পাওয়া সিনেমার তালিকা এক প্রজ্ঞাপনে প্রকাশ করেছে।
প্রবীণ ব্যাংকার দম্পতি দীপা-কামাল, সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় চৌকাঠ ডিঙানো তরুণ জুটি নীপা-রাতুল আর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী প্রকৌশলী অনতি-তরুণ কবির মাহমুদ- প্রধানত এই পাঁচজনকে নিয়েই গড়ে উঠেছে ‘ঠিকানা’র বহুস্তর গল্প, যার গভীরতম স্তরে ক্রিয়া করে জীবন ও জগৎ বিষয়ে কিছু জরুরি জিজ্ঞাসা ও আত্মোপলব্দি। আনোয়ার হোসেন পিন্টু চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) কর্তৃক সত্যজিৎ গবেষক হিসেবে একুশে পদক পেয়েছেন। ২০১৯ সালে আনোয়ার হোসেন পিন্টু’র নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘তৃতীয় বিশে^র ম্যাজিক’ রাজস্থান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে পুরষ্কার লাভ করেন। ২০১৪ সালে তিনি চলচ্চিত্র সংসদ চর্চায় অবদানস্বরূপ সম্মাননা পদক প্রাপ্ত হন। একই সাথে ‘সত্যজিৎ গবেষক’ রূপে ২০১৭ সালে মোবাইল কোম্পানি ‘রবি’ কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করেন। প্রায় ৯ বছরের প্রচেষ্টায় ২০০২ সালে দুর্লভ সব তথ্য-উপাত্তের উপর ভিত্তি করে তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় পাঁচশ পৃষ্ঠার গ্রন্থ ‘সত্যজিতের রবীন্দ্রনাথ’। গ্রন্থটি উভয়বঙ্গে ব্যাপকভাবে সাড়া জাগায়। আনোয়ার হোসেন পিন্টু ১৯৫৯ সালের ৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালে আনোয়ার হোসেন পিন্টু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ থেকে চিত্রকলায় মাস্টার ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি দৈনিক পূর্বকোণে ৩৩ বছর সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পূর্বকোণ/এসি