সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির শিল্পনগরী মুসাফফা সানাইয়াস্থ ১১ নম্বর ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন এলাকায় রাইসুল ইসলাম (১৯) নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশি তরুণ সোমবার (১৭ মার্চ) গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলার কবিরহাট থানার শ্রীনন্দী গ্রামে।বাবার নাম সিরাজুল ইসলাম।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় সোশ্যাল মিডিয়ার টিকটক প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে রাইসুলের সাথে জর্ডান প্রবাসী বাংলাদেশী দুই সন্তানের জননী মারজান আক্তার মায়ার (২৮) পরিচয় ঘটে। তার বাড়িও নোয়াখালী এবং তিনি তালাকপ্রাপ্তা ও দুই সন্তানের জননী। পরিচযয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে অসম প্রেমের বন্ধন গড়ে ওঠে।
মৃতের চাচা আবুল বাশার জানান, সোমবার রাইসুল তার সাথে সেহেরি করে কাজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে যেয়ে টিকটক লাইভে মারজানের সাথে আলাপচারিতার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির সময় তাকে লাইভে রেখেই গলায় ফাঁস দেয়। পরে পাশের রুমের লোকজন ফাঁস লাগানো অবস্থায় রাইসুলকে দেখে তার চাচাকে জানালে তিনি পুলিশে খবর দেন। স্থানীয় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
ভাগ্য বদলের জন্য রাইসুল দুই বছর আগে আমিরাত আসেন এবং তার বড় চাচার সাথে ওয়েল্ডিং এর কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন তার প্রতিবেশী প্রবাসী সাংবাদিক সনজিৎ শীল। বাবা মা’র দুই ছেলে সন্তানের মধ্যে রাইসুল ছিলেন বড়।
তার লাশ বানিয়াস মর্গে রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে দেশে পরিবারের কাছে পাঠানো হবে।
পূর্বকোণ/বাপ্পি/জেইউ/পারভেজ