আমিরাতি শিশু আলী মোহাম্মদ বিন হারিব আল মুহেইরি। বয়স ৮/৯ বছর। বয়সের তুলনায় নামটা ভারী মনে হলেও সে এই বয়সে উপস্থিত বুদ্ধি ও সাহসিকতা দিয়ে আমিরাতে তার আরেক সহপাঠীর জীবন রক্ষা করে রাতারাতি ক্ষুদে হিরো বনে গেছে।
শারজাহর হামরিয়ায় আল কিলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত সপ্তাহের শেষ দিকে একদিন সকাল ১০টায় টিফিন ব্রেকের সময় আলী তারই চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া আরেক সহপাঠীকে সংকটাপন্ন অবস্থায় দেখতে পায়। শিশুটি অসহায়ভাবে তার মুখের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে ছটফট করছিল। সে বুঝতে পারে যে তার গলায় কিছু একটা আটকে গেছে। আলী তাকে দ্রুত শুয়ে দিয়ে তলপেটে কৌশলে চাপ দিতে থাকলে তার গলায় আটকে থাকা একটি কয়েন কাশির সাথে বেরিয়ে আসে। বেঁচে যায় শিশুটির প্রাণ।
পরে আলী মিডিয়াকে বলে, সহপাঠীরা সবাই অসহায়ত্ব নিয়ে যখন তার চারপাশে দাঁড়িয়ে তখন আমি ভাবলাম আমাকে ওর জীবন রক্ষা করতে হবে। আমি এগিয়ে গেলাম। সৌভাগ্য যে আমি ওর জীবন বাঁচাতে পেরেছি। আলীর বাবা হারিব আল মুহেইরি শারজাহর হামরিয়া মিউনিসিপালিটির পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের প্রধান। তার ফার্স্ট এইডের উপর জ্ঞানকে তিনি নিজে কাজে লাগিয়ে আগে দুটি জীবন রক্ষা করেছেন এবং এ বিষয়ে সন্তানদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
আল মুহেইরি মনে করেন প্রতিটি অভিভাবকেরই উচিত তাদের সন্তানদেরকে ফার্স্ট এইড এর উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া যাতে মূল্যবান জীবন রক্ষা হয়।
শিশু আলীকে তার সাহসিকতার স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কৃত করতে যেয়ে শারজাহর পুলিশ প্রধান মেজর জেনারেল সাইফ আল জারি আল শামসি বলেছেন, ছোট্ট এই শিশুটির অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে তীব্রতা ও সাহসিকতার সাথে যেভাবে একটি জীবন বাঁচালো তা প্রমাণ করে যে সেই পরিবারের কাছ থেকে ভালো শিক্ষাই পেয়েছে। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমাদেরকে এভাবেই জরুরি পরিস্থিতিতে সঠিক কাজটি করতে হবে।
পূর্বকোণ/বাপ্পি/জেইউ/পারভেজ