চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

‘জাতির জনকের স্বপ্নপূরণে নিরলস কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী’

ইউএই প্রতিনিধি

১৮ অক্টোবর, ২০২৩ | ৬:০০ অপরাহ্ণ

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রবাসীরা আমাদের জাতীয় অর্থনীতি থেকে শুরু করে দেশের সমৃদ্ধির প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। আপনাদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখে। যেকোনো দুর্যোগে-সংকটে দেশের পাশে দাঁড়ান আপনারা, আমরা তা গভীরভাবে অনুভব করি। বিদেশের মাটিতে আপনারা আমাদের দেশের সুনাম বৃদ্ধি করছেন এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। দেশের জন্য আপনাদের সমর্থন ও সহযোগিতা যেন সব সময় থাকে।

 

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে ইউএইতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বাসভবন বাংলাদেশ হাউজে তাঁর সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে প্রবাসী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখি, মানবসম্পদের উন্নয়ন করি, আমাদের হিউম্যান রিসোর্স সারা পৃথিবীতে আমাদের জন্য একটা বড় শক্তি হিসেবে কাজ করে। তারা চায় উন্নয়ন করে আত্মমর্যাদা নিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক, যা জাতির জনকের আজীবনের লালিত স্বপ্ন ছিল। যে জন্য নিরলস কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী।

 

স্পিকার বলেন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ও ইউএই তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করবে। আমি প্রস্তাব দিয়েছি দু’দেশের সংসদে যেন তাও উদযাপন করা হয়।

 

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে নেমে ২১ শতাংশ হয়েছে। দেশের শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা খুবই জোরদার। একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদোত্তীর্ণ হলে আগামী ডিসেম্বরে বা জানুয়ারিতে দেশের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা চাই একটা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ, অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আমরা সে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারি। সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসেন, রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর, ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগং, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকতা হুদা আফদা, দূতাবাসের মিনিস্টার আবদুল আওয়াল, দূতাবাসের মিশন উপ প্রধান মিযানুর রহমান, শ্রম কাউন্সিলর হাজেরা সাব্বির হোসেন, ২য় সচিব মাজহার হোসেন, দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি আবুধাবীর সভাপতি ইফতেখার হোসেন বাবুল, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ইমরাদ হোসেন ইমু, শওকত আকবর, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন তালুকদার, যায়েদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. হাবিবুল হক খন্দকার, জনতা ব্যাংকের সি ই কামরুজ্জমান, প্রকৌশলী নাছের রেজা খান, ফখরুল ইসলাম খান (সিআইপি) মোহাম্মদ ইউনুছ মিয়া চৌধুরী (সিআইপি), আয়ুব আলী বাবুল (সিআইপি), প্রকৌশলী জাকারিয়া, আলতাফ, শেখ মনছুর, হোসেন, রাষ্ট্রদূতের পত্নী সালমা জাফর, ওয়াহিদা সুলতানা ইফতেখার প্রমুখ।

 

এদিন স্পিকার আবুধাবিতে চলমান (১৬-২০ অক্টোবর) ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামে অংশ নেন। এটি হল বিনিয়োগ ও উন্নয়নের জন্য অনন্য একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম। ফোরামের এবারের থিম হচ্ছে ‘ইনভেস্টিং ইন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’। সংসদ সদস্য, নীতিনির্ধারক এবং ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যকার ত্রিপক্ষীয় সংলাপে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ডায়ালগে তিনি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল, খাদ্য নিরাপত্তা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেকসই বিনিয়োগ বৃদ্ধি, সাপ্লাই চেইনের স্থিতিস্থাপকতা এবং দরিদ্রতমদের মধ্যে উৎপাদনশীল ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেন। এই মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ইভেন্টটি আজকের একাধিক সংকটের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে।

 

স্পিকার ডক্টর শারমিন চৌধুরী কাল ইউএইর ফেডারেল ন্যাশনাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট সাকর ঘোবাশের সাথে স্থানীয় সংসদ ভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলাপকালে তিনি খাদ্য ও জ্বালানি খাতে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে তার সরকারের আগ্রহের কথা জানান এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমিরাতকে বাংলাদেশের পক্ষে থাকার জন্য আহবান জানান।

 

এফএনসি প্রেসিডেন্ট জবাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুসহ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলোতে বাংলাদেশ ইউএইকে তার পাশে পাবে বলে আশ্বাস দেন।

 

পূর্বকোণ/বাপ্পি/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট