বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দাওয়াহ সংগঠন ‘মিনার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’ আয়োজিত ২০ দিনব্যাপী দারসুল কুরআন ও গণইফতার আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। ২০ দিনব্যাপী আয়োজিত এই ধর্মীয় ও মানবিক কার্যক্রমে প্রতিদিন ২ হাজার থেকে ২২শ’ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে প্রায় ৪০-৪৫ হাজার শিক্ষার্থীর ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রায় ১২শ’ ছাত্রের উপস্থিতিতে দারসুল কুরআন পেশ ও সমাপনী অধিবেশনের মাধ্যমে এই আয়োজন সম্পন্ন হয়। আজকের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী।
গণইফতারের সমাপনী বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আয়োজিত আমাদের ২০ দিনব্যাপী দারসুল কুরআন ও গণইফতার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪৫ হাজার শিক্ষার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের জন্য অত্যন্ত অনুপ্রেরণাদায়ক।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, কুরআন হচ্ছে হিদায়াতের আলোকবর্তিকা। দারসুল কুরআনের মাধ্যমে আমরা কুরআনের গভীর শিক্ষা ও তাৎপর্য শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছি, যাতে তারা নিজেদের জীবনকে কুরআনের আলোকে পরিচালিত করতে পারে। পাশাপাশি গণইফতার আয়োজনের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করতে চেয়েছি। রমজান শুধু আত্মসংযমের মাস নয়, বরং এটি ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও মানবতার এক অনন্য শিক্ষা দেয়। হাজারো শিক্ষার্থীর একসঙ্গে বসে ইফতার করার এই পরিবেশ আমাদের মধ্যে ঐক্য ও ভালোবাসা আরও দৃঢ় করেছে। আমরা ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নের জন্য এ ধরনের কল্যাণমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখব, ইনশাআল্লাহ।
সর্বশেষ তিনি উপস্থিত সকল শিক্ষার্থী এবং এই আয়োজনে সম্পৃক্ত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন।
প্রতিদিনের ইফতার আয়োজনে খেজুর, ফলমূল, শরবত, ছোলা, মুড়ি, বেগুনি, পিয়াজু ও বিরিয়ানির বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়, যাতে শিক্ষার্থীরা রমজানের বরকতময় মুহূর্তে স্বাচ্ছন্দ্যে ইফতার করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, ১ম রমজান থেকে শুরু হওয়া এ আয়োজনে প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ হাজার থেকে ২২শ’ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন। ছেলেদের জন্য কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণ এবং মেয়েদের জন্য ছাত্রী হলসমূহে এই আয়োজন চলেছে। প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার থেকে ১৮ শ’ ছাত্র এবং ৫ শ’ থেকে ৬শ’ জন ছাত্রীর উপস্থিতিতে ক্যাম্পাসের এই ইফতার আয়োজন গোটা ক্যাম্পাস জুড়ে সাড়া ফেলেছে। প্রতিদিন ইফতার ব্যবস্থাপনায় কাজ করেছেন প্রায় ১২০-১৫০ স্বেচ্ছাসেবক।
পূর্বকোণ/জুনায়েদ/জেইউ