প্রথমে সম্মত হলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের কটেজ ভাড়া কমাতে গড়িমসি করছে মালিক সমিতি। পাশাপাশি দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্র প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর জুলাই মাসের ১৫ তারিখ থেকে আগস্ট মাসের শেষ পর্যন্ত ৪৫ দিনের ভাড়া ৫০ শতাংশ মওকুফ করার বিষয়ে রাজি হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কটেজ মালিক সমিতি। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়।
কিন্তু মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বরাবর দেওয়া এক চিঠিতে ৪৫ দিনের পরিবর্তে ৩০ দিনের ঘরভাড়া কমানোর দাবি করেন তারা। এ ছাড়া প্রক্টরের বিরুদ্ধে মিথ্যা অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ তোলেন।
এদিকে কটেজ মালিক সমিতির চিঠির জবাবে প্রক্টরিয়াল বডি থেকে আরেকটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়, কটেজে অবস্থানরত ছাত্র প্রতিনিধিদের ৭ সদস্যের উপস্থিতিতে কটেজ মালিক সমিতির নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে ৪৫ দিনের ভাড়া ৫০ শতাংশ মওকুফের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের জোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রদের ভাড়ার বিষয়টি প্রক্টর অফিসে সমাধান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে বিষয়টি প্রচারিত হওয়ায় গৃহীত সিদ্ধান্তের পুর্নবিবেচনার আর কোন সুযোগ নেই।
এ ছাড়া অসৌজন্যমূলক আচরণের ব্যাখ্যায় বলা হয়, ৭ জন ছাত্র প্রতিনিধি ও কটেজ মালিক সমিতির সদস্যদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভায় প্রক্টর মহোদয়ের প্রতি আনিত অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ পূর্বকোণকে বলেন, আন্দোলন চলাকালীন হল কটেজ বন্ধ ঘোষণা করলে শিক্ষার্থীরা বাড়ি চলে যায়। উদ্ভুত পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা কটেজ মালিক সমিতির সাথে আলোচনায় বসি। এই আলোচনায় ৪৫ দিনের ঘরভাড়া ৫০ শতাংশ কমানোর অনুরোধ করলে তারা অতীতের অনেক দাবিদাওয়া আগে পূরণ করার শর্ত দেন। তবে তাদের বুঝানোর পর ৫০ শতাংশ ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্তে তারা রাজি হয়। শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অফিশিয়ালি বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু সন্ধ্যায় তারা একটি চিঠি দিয়ে জানান, ৪৫ দিনের পরিবর্তে ৩০ দিনের ভাড়া মওকুফ করবেন। এ ছাড়া এ চিঠিতে তারা জানান আমি তাদের নেতৃবৃন্দের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছি যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, প্রক্টর অফিসে ৪৫ দিনের ভাড়া মওকুফের সিদ্ধান্ত ওনারা আমাদের উপরে চাপিয়ে দিয়েছেন। আর অসৌজন্যমূলক আচরণ বলতে কেমন করেছে এটা আপনাদের এখন বলতে চাই না।
পূর্বকোণ/জুনায়েদ/জেইউ/পারভেজ