চট্টগ্রাম শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

চবিতে ছাত্রলীগের ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, নাম নেই হামলার মূল হোতাদের

চবি সংবাদদাতা

২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১০:৫৮ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের ১৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪০ জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) হাটহাজারী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আবু হাছান। তবে এতে বাদ পড়েছে ওইদিন মারধরে জড়িত বড় কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার নাম।

 

মামলায় আসামিরা হল- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমেন দত্ত, সাবেক সহ সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, ছাত্রলীগ ক্যাডার মনিরুজ্জামান, সাবেক সহ-সভাপতি আবরার শাহরিয়ার, মির্জা খবির সাদাফ খান, সাবেক আইন সম্পাদক খালেদ মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম সাঈদ, সাবেক সহ-সভাপতি মিজান শেখ, ছাত্রলীগ ক্যাডার আকিব জাভেদ, অনুপ সরকার আকাশ, তায়েব পাঠান, তানভীর আলম আকাশ, মাহমুদুজ্জামান ওমর, মোহাম্মদ নাঈম, আরাফাত রায়হান।

 

এর মধ্যে মনিরুজ্জামানকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসেন শিক্ষার্থীরা। প্রক্টর অফিস থেকে থানায় সোপর্দ করা হয়।

 

মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন শহীদ মিনারের কাছে পৌঁছালে আসামিরা ধারালো রামদা চাপাতি, কিরিজ, লোহার রড, স্ট্যাম্প ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় মাহাবুবুর রহমান নামক এক শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হয়ে গুরুতর আহত হয়। এছাড়া আরও অনেক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা মারধর করে। নারী শিক্ষার্থীদের গালাগালি করে।

 

তবে মামলায় বাদ পড়েছে হামলায় সরাসরি জড়িত কয়েকজনের নাম। হামলার ফুটেজ দেখে চিহ্নিত আরও কয়েকজন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ ক্যাডার হলেন, সিক্সটি নাইন গ্রুপের ক্যাডার নাইম আরাফাত, শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান দিনার, সাবেক কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক তাসনীমুল বসর সাদাফ, সাবেক অর্থ সম্পাদক মাহির মোহাম্মদ মাহফুজ, সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ আকরাম বাপ্পি, ছাত্রলীগ ক্যাডার মনসুরুল আবেদিন মনসুর, আফ্রিদি নিটো, মাশরুর কামাল অনিক। এর মধ্যে নাইম আরাফাত আহত মাহবুবুর রহমানকে উপর্যুপরি আঘাত করেন যা তখন আলোচিত হয়।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ খালিদ বলেন, আমরা চাই প্রত্যেক হামলাকারী আইনের আওতায় আসুক। শিক্ষার্থীদের মারধর করে পার পাওয়া যাবে না। পাশাপাশি এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

এ ব্যাপারে হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, গতকাল রাতে শিক্ষার্থীদের একজন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এর মধ্যে একজনকে শিক্ষার্থীরা থানায় সোপর্দ করে। তাকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

 

পূর্বকোণ/জুনায়েদ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন