চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটির যত বৃত্তি

অনলাইন ডেস্ক

১৩ নভেম্বর, ২০২৩ | ১০:০৮ অপরাহ্ণ

তৈরি পোশাক শিল্প ও টেক্সটাইল খাতে বেসরকারি পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি)।

 

বিইউএফটির ফাইন্যান্সিয়াল এইড এবং ওয়েভার পলিসি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১৬ ধরনের স্কলারশিপ বা ওয়েভার রয়েছে। শতভাগ ওয়েভার নিয়ে চার বছরের স্নাতক কোর্স সম্পন্ন করার সুযোগ রয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের। দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্যও রয়েছে শতভাগ ওয়েভার নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ। ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাজীবনের স্বাভাবিক গতি বজায় রাখার স্বার্থে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রতি সেমিস্টারে ওয়েভার দেয়া হয়।

 

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফল জিপিএ ৫ এবং ইংরেজি মাধ্যমে ‘ও’ লেভেলে ৫ ‘এ’ এবং ‘এ’ লেভেলে ২ ‘এ’ থাকলে প্রথম সেমিস্টারে ৫০ শতাংশ ওয়েভার দেয়া হয়। আর চতুর্থ বিষয় ছাড়া মাধ্যমিকে যাদের জিপিএ ৫ রয়েছে তারাও ২৫ শতাংশ ওয়েভার পেয়ে থাকেন। বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষায় ৭৫ শতাংশ মার্ক পাওয়া সেরা তিনজন এবং জাতীয় পর্যায়ে পারফরমার শিক্ষার্থীও ৫০ শতাংশ ওয়েভার পেয়ে থাকেন। প্রতি সেমিস্টারে ওয়েভার পাওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীদের সিজিপিএ ৩.৭৫ পেতে হবে।

 

এছাড়া বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ক্লিনার, গার্ড, ড্রাইভারদের সন্তানদের জন্য রয়েছে ৫০ শতাংশ ওয়েভার। তবে এ ওয়েভার শতভাগ পর্যন্ত দিতে পারেন বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান। ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী এবং উপজাতি শিক্ষার্থীদের জন্যও রয়েছে ২৫ শতাংশ ওয়েভার। তবে প্রথম সেমিস্টারের পরবর্তী সেমিস্টারগুলোয় যদি সিজিপিএ ৩ থাকে তাহলে এ হারে ওয়েভার চলমান থাকবে। প্রথম সেমিস্টারে ভর্তির সময় নারী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ১০ শতাংশ ওয়েভার।

 

এ বৃত্তিগুলোর বাইরেও রয়েছে বিভাগভিত্তিক ওয়েভার। ইংরেজি বিভাগে প্রথম সেমিস্টারে ৪০ শতাংশ এবং অন্যান্য সেমিস্টারে ২০ শতাংশ হারে ওয়েভার রয়েছে। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের সব সেমিস্টারে ৫০ শতাংশ, সিএসই ও নিটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ২৫ শতাংশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) বিভাগে ২০ শতাংশ হারে সব সেমিস্টারে ওয়েভার দেয়া হয়।

 

যে শিক্ষার্থী অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ প্রোগামে ভর্তি হয় তাদের জন্য ১০ শতাংশ এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ১৫ শতাংশ হারে ওয়েভার রয়েছে। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফ্যাশন ডিজাইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথম সেমিস্টারে ২০ শতাংশ ওয়েভার দেয়া হয়। পরবর্তী সেমিস্টারগুলোয় সিজিপিএ ৩.৭৫ থাকলে এ ওয়েভার চালু থাকবে। মাস্টার্সে এ দুই বিভাগে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেমিস্টারে ১৫ শতাংশসহ মোট ৩৫ শতাংশ ওয়েভার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

 

বিইউএফটি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘‌আরএমজি ও টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির জন্য যে ধরনের সাবজেক্ট দরকার আমরা সেভাবে সিলেবাস তৈরি করেছি। কিন্তু ইংরেজি, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্সের মতো বিষয়গুলো যদি না পড়ানো হয় তাহলে শিক্ষাজীবন পূর্ণতা পায় না। সাধারণত যারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে তারা আরএমজি ও টেক্সটাইলের বিষয়গুলোয় বেশি আগ্রহী, কিন্তু ওই সাবজেক্টগুলোয় আগ্রহ কম। তাই শিক্ষার্থীদের আগ্রহ তৈরি করতে ইংরেজি, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্সে সাবজেক্টভিত্তিক ওয়েভার দেয়া হয়।’

 

বিইউএফটির প্রো-ভিসি অধ্যাপক আইয়ুব নবী খান বলেন, ‘‌বিশ্ববিদ্যালয়টিতে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য ‌বিইউএফটি ট্রাস্টিজ স্কলারশিপ রয়েছে। প্রতি সেমিস্টারেই এ স্কলারশিপ দেয়া হয়। শিক্ষার্থীদের সমস্যার ওপর ভিত্তি করে কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা করে।’ তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা

 

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট