প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনে প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অর্থ ছাড় নিয়ে দেখা দেওয়া জটিলতা কেটে যাওয়ায় অক্টোবর মাসের শেষ দিকে প্রথম ধাপে আবেদন করা রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নিতে চান তারা। একই সঙ্গে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগেই বাকি দুই ধাপের লিখিত পরীক্ষাও শেষ করার লক্ষ্যে কাজ করছে অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদও দ্রুত নিয়োগ পরীক্ষা হবে বলে জানান।
ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ১১-১২ লাখ প্রার্থী। এত সংখ্যক প্রার্থীর পরীক্ষা নিতে হলে তো অনেক খরচ হবে। সেটি অর্থ মন্ত্রণালয় ছাড় না করলে আমাদের বা অধিদপ্তরের কিছু করার থাকে না। ইচ্ছা থাকলেও সেজন্য এতদিন নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছি। বলা চলে— ওটা হয়ে যাবে বা গেছেই। এখন নিয়োগ সংশ্লিষ্টরা বাকি প্রস্তুতি নেবেন। যত দূর জেনেছি, তারা অক্টোবরের ভেতরে একটা (প্রথম ধাপ) পরীক্ষা হয়তো নিয়ে নেবেন। পরীক্ষা কবে হবে, সেই সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা ভালো বলতে পারবেন।
গত ২৪ মার্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপে আবেদন শেষ হয়। ছয় মাস পার হলেও নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে কোনো সুখবর দিতে পারছিল না কর্তৃপক্ষ। মূলত অর্থ ছাড় নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা।
পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে যে খরচ, তা যোগাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি মিল ছিল না। ‘নড়াচড়া’ করেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও। অবশেষে সেই জটিলতা কেটেছে। অর্থ ছাড়ে মৌখিক সম্মতি মিলেছে।
পূর্বকোণ/এসি