চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

আদালতে ভাইয়ের বিরুদ্ধে জবানবন্দি নূর আলমের

ঘর থেকে বের হবার সাথে সাথেই বুবলিকে গুলি করে শাহ আলম

নাজিম মুহাম্মদ

১৪ মে, ২০১৯ | ৩:০২ পূর্বাহ্ণ

ঘর থেকে বের হয়ে আসার সাথে সাথেই বুবলিকে গুলি করে সন্ত্রাসী শাহ আলম। মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবন থেকে অস্ত্রবাজি এমন কোনো কাজ নেই সে করতো না। খুবই খারাপ ছিলো। জেল থেকে জামিনে বের হবার পর খুবই বেপরোয়া হয়ে গিয়েছিলো। নিজের ভাই সম্পর্কে পুলিশের কাছে এমনটি তথ্য দিয়েছেন বাকলিয়ার চাঞ্চল্যকর বুবলি হত্যার প্রধান আসামী শাহ আলমের ভাই নূর আলম। গত শনিবার রাতে বুবলিকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসী শাহ আলম। ঐ রাতেই পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শাহ আলম মারা যায়। গ্রেপ্তার করা হয় তার ভাই নূর আলম, সহযোগী আহমদ কবির, নবী হোসেন ও মোহাম্মদ মুছাকে। ভাইয়ের নানান অপরাধ ও ঘটনার সময় নিজের উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করে গতকাল সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন নূর আলম। বাকি তিন আসামিকে তিনদিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
বন্দুকযুদ্ধে মারা যাবার পর সন্ত্রাসী শাহ আলমের মৃতদেহ এখনো পড়ে আছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমগরে। পরিবারের সদস্য এখনো মৃহদেহ নিতে আসেনি। এলাকার লোকজনের দাবি- সন্ত্রাসী শাহ আলমের মৃতদেহ তারা এলাকায় নিতে দেবে না।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) শাহ মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানান, ময়নাতদন্তের পর শাহ আলমের মৃতদেহ হিমঘরে রাখা হয়েছে। দুইদিন ধরে কেউ নিতে আসেনি। আমরা আরো একদিন দেখবো। কেউ না এলে আনজুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে কবর দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নূর আলম জানিয়েছেন- হাসান, রুবেল ও শাহ আলম তিনজন খুবই ভাল বন্ধু ছিলো। কোন কাজ করতো না। নেশা করতো। মাদক ব্যবসার জের ধরে এক বছর আগে তাদের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের সৃষ্টি হয়। ঐ সময় হাসানকে ছুরিকাঘাত করার অপরাধে শাহ আলম গ্রেপ্তার হয়ে জেলে গিয়েছিলো। কয়েকমাস পর জামিনে বের হয়ে ফের মাদক ব্যবসা শুরু করে। নূর আলম জানান- শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শাহ আলম, মুছা, মামুন, কবির ও জাবেদ খুঁজতে যায় রুবেল ও হাসানকে। শাহ আলম ও জাবেদের হাতে পিস্তল ছিলো। অন্যদের হাতে কিরিচ ছিলো। তারা ঘরে গিয়ে রুবেলকে খুঁজতে থাকে। এ সময় জাবেদ তার হাতে থাকা পিস্তল থেকে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। গুলির শব্দ শুনে রুবেলের বোন বুবলি ঘর থেকে বের হলে সাথে সাথেই তাকে গুলি করে শাহ আলম।
বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন জানান- বুবলি হত্যায় অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গ্রেপ্তার নূর আলম ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আল-ইমরান খান রিমান্ডের আদেশ দেন। তিন অভিযুক্ত হলেন আহমদ কবির, নবী হোসেন ও মোহাম্মদ মুছা।
সহকারী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন বলেন, আসামিদের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেছি। শুনানিশেষে আদালত প্রত্যেকের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট