
চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর জনসংযোগে গুলি করে ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলাকে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আজ শুক্রবার দুপুরে র্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এ ছাড়া চট্টগ্রামের রাউজানে গোলাগুলির ঘটনায় তিনজন এবং বায়েজিদে এক অটোরিকশাচালককে গুলি করার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে র্যাব।
সরোয়ার হত্যায় গ্রেপ্তার দু’জন হলেন- হেলাল হোসেন ওরফে মাছ হেলাল ও আলা উদ্দিন। গ্রেপ্তার দু’জনই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের বায়েজিদের হাজিরপুল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান বলেন, সরোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুজন র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন। তবে সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীসহ মামলার অন্য আসামিদের সঙ্গে চলাফেরা রয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানতে রিমান্ডের প্রয়োজন রয়েছে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগে গুলি করে হত্যা করা হয় সরোয়ারকে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের করা সন্ত্রাসীদের তালিকায় সরোয়ারের নাম রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে অস্ত্র-চাঁদাবাজির ১৫টি মামলা। একই ঘটনায় সরোয়ার ছাড়াও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহও রয়েছেন।
র্যাব জানায়, সরোয়ারকে গুলি করার পরদিন চালিতাতলী এলাকায় ইদ্রিস নামে এক অটোরিকশাচালককে গুলি করা হয়। এ ঘটনায় আরমান আলী নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, গুলি করার সঙ্গে ‘সন্ত্রাসী’ শহীদুল ইসলাম ওরফে বুইস্যা ও মিজান জড়িত।
পূর্বকোণ/এএইচ