
কয়েকবছর আগে মোছাম্মদ রুজিনা বেগমকে ছেড়ে চলে যান স্বামী, ফিরে তাকাননি আর। ঢাকায় গিয়ে গড়েছেন নতুন সংসার। অসহায় এই নারীর ‘আপন’ বলতে আছে শুধুই ১০ বছরের ছেলেটা। ভালোবেসে তাই হয়তো ছেলের নামও রেখেছিলেন আপন। সেই ছেলেটিই নিখোঁজ হয়ে গেলো। একমাত্র অবলম্বনকে হারিয়ে রুজিনা বেগম এখন পাগলপারা। ছেলের খোঁজে তিনি কাঁদতে কাঁদতে ছুঁটছেন এই জায়গা থেকে, ওই জায়গায়।
রুজিনার কান্না দেখে আশপাশের কয়েকজন মানুষ এগিয়ে আসেন। পরে তাঁরা রুজিনাকে নিয়ে যান খুলশি থানায়। ছেলে হারানোর ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ওই নারী।
জিডি সূত্রে জানা যায়, আপন তার মায়ের সঙ্গে খুলশির সিএন্ডবি কলোনির মুমিন সওদাগরের বিল্ডিংয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত রবিবার বিকেল তিনটার দিকে আপন হারিয়ে যায়। তার গায়ের রঙ শ্যামলা। উচ্চতা তিন ফিট ১০ ইঞ্চির মতো।
নজরুল ইসলাম নামের আপনের এক নিকটাত্মীয় দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘রুজিনা বেগম একেবারেই অসহায়। তাঁর ছেলে আপন ছাড়া আপন কেউ নেই। তিনি বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ করে কোনোরকমে জীবন নির্বাহ করছেন। রবিবার বিকেলেও সেই কাজে গিয়েছিলেন, তখন আপন একা বাসায় ছিল। পরে বাসায় এসে ছেলেকে আর পাননি রুজিনা। আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজেও তাকে পাইনি। তাকে কেউ পেয়ে থাকলে আমার নম্বরে (০১৬১১-০১৬৯৯৪) যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।’
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ