
ওরা দুই সহোদর। দু’জনেই পুলিশের তালিকাভুক্ত ‘সন্ত্রাসী’। দু’জনের বিরুদ্ধে নগরীর সদরঘাট থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গুণধর দুই সহোদর হলেন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে জাহাঙ্গীর মাঝি ও মোহাম্মদ আলম ওরফে ‘নাইক্ক্যা আলম’।
জাহাঙ্গীর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার হয় গত ১৪ সেপ্টেম্বর। সেদিন অভিযানের সময় অস্ত্রসহ পালিয়েছিল ছোট ভাই আলম। পালিয়ে যাওয়া সেই নাউক্ক্যা আলম গত বুধবার রাত এগারোটার সময় মোটরসাইকেল নিয়ে সদলবলে এসে তিনজনকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে বীরদর্পে চলে যায়। আহত তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছে রিয়াদ (১৭। ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে সাইফুল (১৭) ও নুর উদ্দিন (২৪)।
স্থানীয় লোকজন জানান, একাধিক মামলার আসামি ‘সন্ত্রাসী’ জাহাঙ্গীর মাঝিকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় অস্ত্রসহ আলম ওরফে নাউক্ক্যা আলম পালিয়ে যায়। আলমের ধারণা পূর্ব মাদারবাড়ির মহব্বত গলির যুবকরা জাহাঙ্গীরকে ধরিয়ে দিয়েছে। জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তারের জের ধরে নাউক্ক্যা আলম অনুসারীদের নিয়ে গত বুধবার রাত পৌনে এগারোটার সময় মহব্বত গলিতে এসে কুপিয়ে এবং গুলি করে তিনজনকে আহত করে। এ সময় আলমের সাথে সজল, জাকির, জাবেদ, টিটু, ইকবাল, মামুন, নয়ন, দিশু, নূর জামান ও আলমগীরসহ ১০/১৫ জন যুবক ছিল। ছয় মোটরসাইকেলে তারা এসেছিল। প্রথমে তারা শুভ নামের একজনকে কোপানোর চেষ্টা করে। পরে সাইফুলকে কিরিচ দিয়ে কোপায়। আরমান ও নূর উদ্দীনের মধ্যে একজনকে হাতে ও অন্যজনকে মুখে কোপ দেওয়া হয়। এরপর রিয়াদ ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে গুলি করা হয়।
জাহাঙ্গীর ও আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার শরৎনগর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে। তারা সদরঘাটের শাহেদ পাড়ায় বসবাস করে। মাদক পাচার, জুয়া, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত দুই ভাই। দুইজনের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
সদরঘাট থানার পরিদর্শক (ওসি) আবদুর রহিম জানান, জাহাঙ্গীর মাঝি ও তার ভাই আলম দু’জনের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। জাহাঙ্গীরকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় আলম পালিয়ে গিয়েছিল। বুধবার রাত পৌনে এগারোটার সময় আলম ওরফে নাউক্ক্যা আলম সহযোগীদের নিয়ে মহব্বত পাড়ায় গোলাগুলি করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পূর্বকোণ/ইবনুর