চট্টগ্রাম শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর : জেট ফুয়েল যাচ্ছে পাইপলাইনে
বিমানবন্দরে জেট ফুয়েল পাঠানোর জন্য পদ্মা অয়েলের প্রধান স্থাপনায় স্থপিত পাম্প ও ফিল্ট্রেশনসহ মিটারিং স্কিড হাউস

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর : জেট ফুয়েল যাচ্ছে পাইপলাইনে

মিজানুর রহমান

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ

বিমানবন্দরে নিরাপদ জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রথমবারের মতো জেট ফুয়েল পাঠানো হচ্ছে পাইপলাইন দিয়ে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে এই কার্যক্রম শুরু করেছে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান স্থাপনা থেকে পাইপলাইনে সাড়ে তিন লাখ লিটার জেট ফুয়েল বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে।

 

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন-এতোদিন পতেঙ্গার পদ্মা অয়েল ডিপো থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দরে ১০-১২টি ফুয়েল বাউজার দিয়ে জেট ফুয়েল সরবরাহ করা হতো। এটি সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পাইপলাইনে জ্বালানি সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য ‘জেট এ-১ পাইপলাইন ফ্রম এমআই টু শাহ আমানত এয়ারপোর্ট’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার।

 

২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর পাইপলাইনটি নির্মাণের কাজ শুরু করে পদ্মা অয়েল। ব্যয় ধরা হয় ১৭০ কোটি টাকা। প্রকল্পের অধীনে নগরের পতেঙ্গা ডিপো থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ৫ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ৮ ইঞ্চি ব্যাসের এই পাইপলাইন দিয়ে ঘণ্টায় ১৪০ কিউবিক মিটার জেট ফুয়েল পরিবহন করা সম্ভব।

 

প্রকল্প পরিচালক ও পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী অনুপ কুমার বড়ুয়া পূর্বকোণকে বলেন, সফল কমিশনিং শেষে পাইপলাইন দিয়ে এখন পরীক্ষামূলক জেট ফুয়েল সরবরাহ করা হচ্ছে। দুদিনে সাড়ে তিন লাখ লিটার জেট ফুয়েল পাঠানো হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা যাবে বলে আমরা আশা করছি।

 

শাহ আমানত বিমানবন্দরে ওঠা-নামা করা বিমানগুলোর জন্য প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে আড়াই লাখ লিটার জেট ফুয়েল প্রয়োজন হয়। প্রতিবছর হজ মৌসুমে এই চাহিদা বেড়ে তিন লাখ লিটারে দাঁড়ায়। পাইপলাইনের মাধ্যমে জেট ফুয়েল সরবরাহ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলে মাত্র দুই ঘণ্টায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই বিমানবন্দরের জেট ফুয়েলের চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে।

 

জানতে চাইলে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মফিজুর রহমান পূর্বকোণকে বলেন, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিমানবন্দরে পাইপলাইনের মাধ্যমে জেট ফুয়েল পাঠানো হচ্ছে। আর কোনো বিমানবন্দরে এই সুবিধা নেই। শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এটি জ্বালানি খাতের জন্য একটি মাইলফলক।

 

তিনি বলেন, পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পাইপলাইন প্রকল্পটি দিয়ে এখন পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য আমরা জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করছি। প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরে চালু করার কথা থাকলেও এর আগেই আমরা এটি করতে পারবো। সব প্রক্রিয়া দ্রুতই শেষ করা হবে।

 

পূর্বকোণ/ইবনুর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট