চট্টগ্রাম শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

বাংলাদেশ বিমানের কাছে এয়ারবাস বিক্রি করতে কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুট : চাহিদাতেও ফ্লাইট কমাচ্ছে বিমান

ইমাম হোসাইন রাজু

৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা রুটে ফ্লাইট কমাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে সপ্তাহের প্রতি বুধবারের চট্টগ্রাম-জেদ্দা ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। অথচ বর্তমানে ওমরা মৌসুমে এই রুটের যাত্রীর চাপ সর্বোচ্চ।

 

বিমানের ফ্লাইট কমানোর সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশি ও ওমরা যাত্রীরা। যাত্রীদের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ফ্লাইট কমানোর পথে হাঁটার সিদ্ধান্তকে বিমান কর্তৃপক্ষের ‘হটকারী ও অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের অভিমত, এ সিদ্ধান্তে যাত্রীদের আর্থিক ও মানসিক ভোগান্তি যেমন বাড়বে। একইসঙ্গে বিমানের ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক পরিকল্পনাও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

 

প্রাপ্ত তথ্য মতে, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আগে সপ্তাহে তিনটি জেদ্দা ও একটি মদিনা ফ্লাইট পরিচালনা করতো বিমান বাংলাদেশ। বর্তমানে মদিনা থেকে চট্টগ্রামের ফিরতি ফ্লাইটটি বন্ধ রয়েছে। নতুন করে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে বুধবারের জেদ্দা ফ্লাইটও বন্ধ হয়ে গেলে চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে সপ্তাহে মাত্র দুটি ফ্লাইট চালু থাকবে।

 

ফ্লাইট কমানোর বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চট্টগ্রাম ব্যবস্থাপক আল মামুন ফারুক বলেন, রুট নির্ধারণের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয়ভাবে নেওয়া হয়। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটের সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইটের মধ্যে বুধবারের ফ্লাইটি বন্ধ থাকবে। চট্টগ্রাম থেকে এ রুটের যাত্রী চাহিদা অনেক বেশি। তবে নতুন এয়ারক্রাফট যুক্ত হলে চট্টগ্রাম রুটে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে আশ্বস্থ করেন তিনি।

 

সংশ্লিষ্টরা জানান, ওমরা মৌসুমে সাধারণ সময়ের তুলনায় যাত্রীর চাপ বেশি থাকে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় প্রবাসী যাত্রীদের ভিড়। ফলে আসন সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। চট্টগ্রামের হজ ও ওমরা এজেন্সিগুলো বলছে, ফ্লাইট সংকটে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। পাশাপাশি ঢাকায় গিয়ে ফ্লাইট ধরতে হচ্ছে, যা খরচ ও ভোগান্তি বহুগুণ বাড়াচ্ছে।

 

হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) চট্টগ্রাম জোনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, চট্টগ্রাম-জেদ্দা ও মদিনা রুটে ফ্লাইট বাড়ানোর দাবি বহুদিনের। আমাদের এই দাবির প্রতি সমর্থন না দিয়ে বিমান কর্তৃপক্ষ উল্টো ফ্লাইট কমিয়ে দিচ্ছে। এতে ওমরা যাত্রীরা বেকায়দায় পড়বেন। বাড়তি অর্থ ব্যয় ছাড়াও শারীরিক ও মানসিকভাবে কষ্ট পেতে হবে।

 

এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) চট্টগ্রাম জোনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, চট্টগ্রাম রুটে যাত্রী চাহিদা নিয়মিত ও নিশ্চিত। এ অবস্থায় ফ্লাইট কমানোয় শুধু যাত্রীদের ক্ষতি নয়, বিমান ব্যবসায়িকভাবেও ভাবমূর্তির সংকটে পড়বে।

 

পূর্বকোণ/ইবনুর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট