
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ধারণক্ষমতা ৫৩ হাজার ৫১৮ একক থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ হাজার এককে। এছাড়া অপেক্ষমাণ জাহাজের তালিকাও কমেছে। কনটেইনারবাহী জাহাজ এসে ভিড়ছে দিনে দিনেই, কিংবা সর্বোচ্চ দুদিনে। ইয়ার্ডগুলোর কার্যক্রম স্বাভাবিক। তাই বন্দরের অপারেশনাল ইয়ার্ডগুলোর অবস্থা আগের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। ফলে পণ্যবাহী এফসিএল (ফুল কনটেইনার লোড) কনটেইনারের ফ্রিটাইম পরবর্তী চারগুণ স্টোররেন্ট আপাতত এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিবহন বিভাগ থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর এবং ঢাকার কমলাপুর আইসিডি, পানগাঁও আইসিটিতে চলতি বছরের ১০ মার্চ থেকে চারগুণ হারে স্টোররেন্ট আরোপ করা হয়। তবে নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান ও বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম গতিশীল রাখার স্বার্থে ২৩ আগস্ট ২০২৫ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত এফসিএল কনটেইনারের ওপর চলমান চারগুণ স্টোররেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। তবে খালি কনটেইনারের ক্ষেত্রে এ স্থগিতাদেশ কার্যকর হবে না।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনসহ (বিজিএমইএ) বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের অনুরোধে বন্দর কর্তৃপক্ষ এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তাই বন্দর কর্তৃপক্ষ আমদানিকারকদের দ্রুত তাদের কনটেইনার ডেলিভারি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় থাকে।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি ও কেডিএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম রহমান বলেন, আমরা কখনও বাড়ানোর বিপক্ষে ছিলাম না। তবে বলেছিলাম, একটু আলোচনা করে বাড়ান। কয়েকটি মিটিংও হয়েছিল। তবে এক মাসের জন্য যে তারা বাড়তি স্টোররেন্টে স্থগিতাদেশ দিয়েছে, আমরা সেটিকে স্বাগত জানাই।
পূর্বকোণ/ইবনুর