চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

নাক চেপে চলতে হয় যে ব্যস্ত সড়কে

নাক চেপে চলতে হয় যে ব্যস্ত সড়কে

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ আগস্ট, ২০২৫ | ৫:০১ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীর দুই নম্বর গেটের মোড় থেকে ষোলশহর রেলস্টেশন। প্রায় আধা কিলোমিটারের এই পথে প্রতিদিন যাতায়াত করেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার হাজার হাজার মানুষ। এই পথ পাড়ি দিতে হয় মুখে রুমাল চেপে, নিশ্বাস বন্ধ রেখে। ফুটপাত ও সড়কের উত্তর পাশজুড়ে যত্রতত্র ডাস্টবিন ও ময়লার স্তূপে সয়লাব এলাকা।

 

বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এখানে উচ্ছিষ্ট খাবার, পলিথিন, কাগজ, প্লাস্টিক বোতল, এমনকি ক্লিনিক্যাল বর্জ্যও ফেলা হচ্ছে রাস্তার উপরেই। সামান্য বৃষ্টিতেই আবর্জনা গড়িয়ে পড়ে মূল সড়কে, ছড়িয়ে পড়ে তীব্র দুর্গন্ধ।

সরেজমিনে দেখা যায়, আবর্জনার দুই পাশে সারি সারি দোকানপাট, কুরিয়ার সার্ভিস ও খাবারের দোকান। ষোলশহর, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, বাকলিয়াসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ নিয়মিত এই পথ ব্যবহার করেন। কিন্তু বৃষ্টির পর ফুটপাত দিয়ে হাঁটা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

আগ্রাবাদের বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ময়লা কখনো নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। উপরন্তু সড়কের একপাশ দখল করে ডাস্টবিন রাখা হয়েছে।” কর্ণফুলী মার্কেটের মাছ ব্যবসায়ী আবদুস সুবুরের সাফ কথা, ‘সবাই ফেলে, তাই আমিও ফেলি।’

 

স্থানীয়দের মতে, সিটি কর্পোরেশনের কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় স্বাস্থ্যঝুঁকি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বৃষ্টির পানিতে ভেসে যাওয়া আবর্জনা শহরের অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে মশা-মাছির প্রজনন বেড়েছে, রোগবালাইয়ের আশঙ্কা বাড়ছে। দুর্গন্ধে যাত্রীদের খাবারে অনীহা ও বমি বমি ভাবও দেখা দিচ্ছে।

 

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা বলেন, বাউন্ডারি ওয়াল না থাকায় যে যেখানে পারছে সেখানে ময়লা ফেলছে। অন্য কোন বিকল্প জায়গা না পাওয়ায় আপাতত এটা সরানো যাচ্ছে না। তবে আপাতত চারপাশে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট