চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়বে : বিডা চেয়ারম্যান
বক্তব্য রাখছেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়বে : বিডা চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ আগস্ট, ২০২৫ | ১১:১৩ অপরাহ্ণ

২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা আরও কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

 

রবিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন এজেন্ট ডেস্ক উদ্বোধনের পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এ কথা জানান।

 

বিডা চেয়ারম্যান বলেন, সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের বড় বড় বন্দরগুলোতে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায়। বন্দরের চলমান সংস্কার কাজ শেষ হলে দুর্নীতি ও হয়রানি কমে আসবে।

 

তিনি আরও বলেন, বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল নৌবাহিনী পরিচালিত ড্রাইডক লিমিটেডের দায়িত্ব নেওয়ার পর কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে ৩০ শতাংশ। জাহাজের অপেক্ষমাণ সময়ও কমেছে ১৩ ঘণ্টা।

 

চৌধুরী আশিক বলেন, এপ্রিল-মে মাসে আসার সময় প্রশ্ন উঠেছিল, কেন অপারেটর বদলানো হবে, যখন দেশি অপারেটর ১.৩ মিলিয়ন টিইইউস সম্পন্ন করেছে। এখন আমরা পরিবর্তন করে প্রমাণ করেছি ভালো অপারেটর নির্বাচন জরুরি। একটি রিপোর্ট বলছে, এই বন্দরে ১.৯ মিলিয়ন টিইইউস পর্যন্ত হ্যান্ডলিং সম্ভব। বর্তমানে সর্বোচ্চ রেকর্ড ১.৩ মিলিয়ন টিইইউস।

 

তিনি আরও বলেন, সিডিডিএল ভালো করছে, কিন্তু টেকনোলজি ও গ্লোবাল প্র্যাকটিস আনার ক্ষেত্রে আরও উন্নতি সম্ভব। আমাদের জন্য সর্বোত্তম মডেল নির্ধারণ করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য জাতীয় স্বার্থে বন্দরের সর্বোচ্চ ক্ষমতা অর্জন।

 

বিডা চেয়ারম্যান আন্তর্জাতিক অপারেটর নিয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতাকে ‘সুখকর’ না বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, কয়েকটি দেশে অপারেটরের কাজ জটিলতায় ভরা। বাংলাদেশে এখনো আন্তর্জাতিক অপারেটরের সাথে কাজ শুরু হয়নি। কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা এখনও চলমান। তারা লোকালি না বিদেশি লোন নেবে, তা সম্পূর্ণ আর্থিক সিদ্ধান্ত।

 

তিনি সতর্ক করেন, বাংলাদেশের টাকা বিদেশে চলে যাবে না। ব্যাংকিং আইনে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

 

চৌধুরী আশিক আরও বলেন, বাংলাদেশে পাঁচ বছরের প্রকল্প ১৫ বছরে শেষ হয়, ফলে গ্লোবাল কম্পিটিশনে পিছিয়ে যাচ্ছি। আমরা দ্রুত প্রকল্পগুলো শেষ করতে চাই। চলতি বছর ডিসেম্বরে বড় পোর্টগুলোর জন্য বড় অগ্রগতি প্রদর্শন করতে চাই। কিছু চুক্তি স্বাক্ষর ও গ্রাউন্ড ব্রেক শুরু হবে। নির্বাচন পরবর্তী সরকার আসা পর্যন্ত কাজ থামানো যাবে না। কাজ অব্যাহত থাকবে।

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট