
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ.এফ. রহমান হলের ডাইনিং, ক্যান্টিন ও একটি খাবার দোকানের ফ্রিজ থেকে কয়েকদিনের পচা-বাসি খাবার উদ্ধার করে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শনিবার বিকেলে ক্যান্টিন এবং দোকানগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যান্টিনের এক কর্মচারী হাত না ধুয়ে খাবার পরিবেশন করছিলেন। প্রতিবাদ করতেই ক্যান্টিন মালিকের অবজ্ঞাসূচক বক্তব্য, ‘খাইলে খাইবেন, না খাইলে খাইবেন না।’ পরে শিক্ষার্থীরা পঁচা খাবার বের করে আন্দোলন শুরু করেন।
রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শিক্ষার্থী আব্দুল আউয়াল জানান, প্রায়ই আগের দিনের খাবার খাওয়ানো হয়, পরোটা বানানোর আটা ২-৩ দিনের পুরোনো মিশিয়ে রাখা হয়, যা খেয়ে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন। প্রশাসনের কাছে তারা ১৩ দফা দাবি জমা দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ, হাইজিন ও ফিল্টারসহ সুপেয় পানি, কর্মচারীদের বদল, নতুন টেবিল-চেয়ার, বেসিন স্থাপন, লাইটিং বৃদ্ধি ও শিশু শ্রম বন্ধ।
অন্য শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এখানে খাবারের অবস্থা ভাষায় প্রকাশের মতো নয়। মাসখানেক আগে খেয়ে আমি অসুস্থ হয়েছিলাম। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার না পেলে পড়াশোনা কীভাবে করব?
ঘটনাস্থলে আসা হাউস টিউটর মোরশেদুল হক জানান, সহকারী প্রক্টর কোরবান আলী ও নুরুল হামিদ কানন পরিদর্শনে এসে পচা খিচুড়ি ও ডিম পান। প্রভোস্ট ব্যবস্থা না নিলে তিনি হলে থাকবেন না বলে সতর্ক করেছেন এবং ক্যান্টিন ও দোকান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন বলেন, খাবারের ভয়াবহ অবস্থা দেখেছি। শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছে, যা প্রশংসনীয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে এই দোকান ও ক্যান্টিন বন্ধ রাখা হবে।
পূর্বকোণ/জুনায়েদ/জেইউ/পারভেজ