চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

পরিবেশ সুরক্ষায় তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগাতে হবে : মেয়র শাহাদাত

বিজ্ঞপ্তি

৯ আগস্ট, ২০২৫ | ৬:০১ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় তরুণপ্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। নানামাত্রিক কর্মসূচিতে তাদের সম্পৃক্ত, সচেতন ও দায়িত্বশীল করতে হবে। উন্নয়নের ধরন বদলাতে হবে। প্রাণ-প্রকৃতিকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে আনতে হবে। বায়ু, মাটি, পানিসহ সবধরনের দূষণ বন্ধে নাগরিক সচেতনতা, দায়িত্বশীলতা ও ঐক্য তৈরি করতে হবে।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারি হলে পরিবেশ মানবাধিকার আন্দোলন-পমার আয়োজনে পমা পরিবেশ চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৫’র বিজয়ীদের সংবর্ধনা, সনদ ও মেডেল প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষা শুধু সরকার বা নগরপ্রশাসনের দায়িত্ব নয়, নাগরিকেরও দায়িত্ব। বৃক্ষরোপণ, জলাশয় রক্ষা ও প্লাস্টিক দূষণ কমানোর মতো ছোট ছোট উদ্যোগ প্রকৃতিকে বাঁচাতে বড় ভূমিকা রাখে।’ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও পরিবেশ সুরক্ষায় তরুণদের সক্রিয় ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘পরিবেশ সংরক্ষণ মানবাধিকারের অংশ। এটি মানুষের পাশাপাশি প্রাণীদেরও অধিকার। আমাদের প্রকৃতিকেন্দ্রিক হতে হবে। যা সৃষ্টি করা যায় না, তা ধ্বংস করাও উচিত নয়।’ অপ্রয়োজনীয় হর্ন ও প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার বন্ধ করে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনারও পরামর্শ দেন মেয়র। তিনি পমার উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে অন্য সবাইকে প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসার আহবান জানান।

বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণী উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ওবায়দুল করিম।

তিনি বলেন, প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষায় শিক্ষার্থীরাই হতে পারে সবচেয়ে বড় শক্তি। তারা আগামী প্রজন্মের প্রতিনিধি, যাদের হাতে ভবিষ্যতের পৃথিবী গড়ে উঠবে। বিদ্যালয় ও কলেজে পরিবেশবান্ধব চিন্তা, বৃক্ষরোপণ, প্লাস্টিক বর্জন, পানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা গেলে তা আজীবন বহমান থাকবে। শিক্ষার্থীরা সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে পারে পরিবার, বন্ধু ও সমাজে। ছোট ছোট উদ্যোগ- যেমন পরিচ্ছন্নতা অভিযান, সবুজ ক্যাম্পাস গড়ে তোলা, পুনর্ব্যবহার; বড় পরিবর্তন আনতে সক্ষম। প্রকৃতি রক্ষায় তাদের নিষ্ঠা শুধু পরিবেশ নয়। প্রাণিকুলেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তাই শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণই হতে পারে একটি সবুজ ও সুন্দর পৃথিবী গড়ার মূল চাবিকাঠি।

পমা’র চেয়ারপারসন প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বেলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. নিয়াজ উদ্দিন, বিজিএমইএ’র পরিচালক সাইফুল্লাহ মানসুর, ড.শামসুদ্দিন শিশির এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ২৫তম ব্যাচের প্রধান সমন্বয়ক নুর হোসাইন নিজামী।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ‘পমা প্রতিযোগিতা কমিটির সদস্যসচিব মঈনুদ্দীন কাদের লাভলু, ধন্যবাদ বক্তব্য দেন পমার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আবসার মাহফুজ।

শিক্ষিকা জাকিয়া উম্মে তোহফা ও ফারজাহান চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কলামিস্ট মুহাম্মদ মুসা খান, পমা প্রতিযোগিতা কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ বদরুল হাসান, কলামিস্ট অধ্যাপক শাব্বির আহমেদ, কবি ইমরুল কায়েস, রেহেনা চৌধুরী, অধ্যাপক মো. দিদারুল আলম, সিলভার বেলস্ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ কবি বিভা ইন্দু, এস এম সিরাজদৌলা, কাজী গোলাফ রহমান, রেজাউল করিম বাবলু, মো. ছায়েফ উল্লাহ, সঙ্গীতশিল্পী আবুল কালাম, মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট