
‘চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) শুধুমাত্র একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি চট্টগ্রামের সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিভিন্নস্তরের মানুষের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফসল। সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলের নানাস্তরের নেতৃত্বের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই অর্জিত হয়েছে এই সফলতা। যা আজ চট্টগ্রামের শিক্ষা ও গবেষণার একটি মাইলফলক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিভাসু আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ।
বিশেষ আলোচক ছিলেন সাবেক মুখ্যসচিব মো. আবদুল করিম, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ, দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. ম. রমিজউদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর ড. শফিক হায়দার চৌধুরী, সিভাসু’র প্রফেসর ড. একেএম সাইফুদ্দীন, প্রফেসর ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, ডা. মো. ফরহাদ হোসেন এবং মোর্শেদুল আলম কাদেরী।
বক্তারা বলেন, সুশীল সমাজ এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ঐক্যই ছিল এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল চালিকাশক্তি। সাবেক মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমান, ইউসুফ চৌধুরী, সাহেদুল আলম কাদেরী, ডা. নাজির আহমেদ, আব্দুল করিমসহ চট্টগ্রামের সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও বিভিন্নস্তরের লোকজন ছিল এর শক্তি। তাদের আন্দোলনের ফসল এই চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয়। এ ঐক্যের ইতিহাস সংরক্ষণ ও পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়াই এখন সময়ের দাবি।
প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতাদের অংশগ্রহণ ছিল সমান গুরুত্বপূর্ণ। পূর্বকোণে এই আন্দোলনের ভিত্তি গড়ে উঠেছিল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক মুখ্যসচিব মো. আবদুল করিম বলেন, এ ধরনের ঐক্য ও সংগঠন ছাড়া বড় কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। সিভাসু শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি আন্দোলনের ফলাফল এবং ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত।
দৈনিক পূর্বকোণ ও চট্টগ্রাম ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরীর কনিষ্ঠ সন্তান দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. ম. রমিজউদ্দিন চৌধুরী বলেন, মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরীর নামে ভবনের নামকরণ করায় সিভাসু কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার বাবা সমাজসেবায় একুশে পদক পেয়েছিলেন। তার সমাজসেবার উল্লেখযোগ্য ছিল ডেইরি শিল্পে অবদান। সেই শিল্পের অংশ ছিল এই ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান ছিলেন। দৃঢ় মানসিকতা, সুদূরপ্রসারী চিন্তা, এবং জাগ্রত চেতনার একজন মানুষ ছিলেন তিনি। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দলমত নির্বিশেষে সবাই এই আন্দোলনে যুক্ত হন। পূর্বকোণ ছিল সেই আন্দোলনের ঘাঁটি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সিভাসুর শিক্ষক প্রফেসর ড. এএসএম গোলাম কিবরিয়া, অধ্যাপক ড. ইউসুফ ইলাহী চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক মোনসুর আহমেদ, সিভাসুর প্রভাষক তাশরিফ মাহমুদ মিনহাজ, জাকারিয়া চৌধুরী প্রমুখ।
পূর্বকোণ/ইবনুর