
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, দীর্ঘ ১৫ বছরের আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তি লাভের জন্য ছাত্র-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনতা রাজপথে নেমে পড়েছিলেন। জনগণের আন্দোলন সংগ্রাম দমণের জন্য আওয়ামী লীগ পুলিশ, বিজিবিসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে গুলি চালিয়ে হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে খুনী ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে পুলিশের গুলিতে নিহত হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া।
হৃদয় চন্দ্র তরুয়ার পটুয়াখালী সদর এলাকার বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের দেখতে এবং খোঁজখবর নিতে সুদূর চট্টগ্রাম থেকে ছুঁটে যান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর নেতৃবৃন্দ।
হৃদয় চন্দ্র তরুয়ার মা অর্চনা রাণীর সাথে জামায়াতে নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম আরও বলেন, হৃদয় চন্দ্র তরুয়া অত্যন্ত মেধাবী ও গরীব পরিবারের সন্তান ছিলেন। অন্যায় ও জুলুমের প্রতিবাদে রাজপথে নেমে ছিল সে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আওয়ামীলীগ সরকারের পুলিশের গুলিতে সে নিহত হয়। দীর্ঘ ১ বছর পরও এখনো জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হয় নি।
তিনি আরও বলেন, ৩৫ জুলাই ২০২৪’র চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে। ২৪ এর জুলাইয়ে এ দেশের মানুষ দুর্নীতি, গুম, খুন ও অর্থপাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে রাজপথে। অতীতের ন্যায়—অন্যায়, জেল, জুলুম, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি থেকে জনগণ মুক্তি চায়। তাই আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে। তিনি অবিলম্বে জুলাই হত্যাকাণ্ডের খুনীদের গ্রেপ্তার করে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি জানান।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির নাজমুল হাসান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ, পটুয়াখালী জেলার এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ডা. ছিদ্দিকুর রহমান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় স্কুলবিষয়ক সম্পাদক নঈম হোসেন নয়ন, চট্টগ্রাম মহানগরী দক্ষিণ শাখা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি মাইমুনুল ইসলাম মামুন, চবি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুহাম্মদ পারভেজ, ছাত্রশিবিরের সাবেক কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় প্ল্যানিং এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম, ছাত্রনেতা সাইদুল মোরসালিন প্রমুখ।
পূর্বকোণ/পারভেজ