চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের মুরাদপুরে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে সর্বপ্রথম শাহাদাত বরণ করেছেন ওমরগনি এম.ই.এস. কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমদ শান্ত। এরপর পর শাহাদাত বরণ করেন শহীদ ওয়াসিম আকরাম ও দিনমজুর মুহাম্মদ ফারুক।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ফয়সাল আহমদ শান্তর বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার গ্রামের বাড়িতে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামের শাহাদাতের ঘটনার পর সারা বাংলাদেশে ছাত্র জনতা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে। চট্টগ্রামেও বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও স্কুলের ছাত্র শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনতা রাজপথে নেমে আসে। জুলাই বিপ্লবের শহীদ ফয়সাল আহমদ শান্ত, ওয়াসিম আকরাম ও মুহাম্মদ ফারুকসহ সকল জুলাই শহীদদের ত্যাগের বিনিময়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। দুর্ভাগ্য হলেও সত্য দীর্ঘ একবছর পরেও জুলাই বিপ্লবের সনদ বাস্তবায়ন হয়নি। অনতিবিলম্বে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে খুনীদের দৃশ্যমান বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং ৩৬ জুলাইয়ের পূর্বে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে।

শহীদ ফয়সাল আহমদ শান্তর পিতা মুহাম্মদ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, কর্মপরিষদ সদস্য ডা. মুহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান ও আবু হেনা মোস্তফা কামাল প্রমুখ।

আলোচনা শেষে শহীদ শান্তসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সকল শহীদ ও আহতদের জন্য দোয়া করা হয়।

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ