চট্টগ্রাম শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

নির্ধারিত দামে কোথাও মিলছে না এলপিজি
ফাইল ছবি

নির্ধারিত দামে কোথাও মিলছে না এলপিজি

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ জুলাই, ২০২৫ | ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ

বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসের শুরুতে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। নিয়ম অনুযায়ী কখনো এলপিজির দাম বাড়ে, কখনো কমে। যখন দাম বাড়ে সঙ্গে সঙ্গে খুচরা বাজারেও বাড়ে। তবে সরকার যখন দাম কমিয়ে দেয় তখন খুচরা বাজারে তেমন প্রভাব দেখা যায় না।

 

সর্বশেষ চলতি মাসের শুরুতে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৩৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে গতকাল নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিইআরসি নির্ধারিত দামে কোথাও ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি হতে দেখা যায়নি। কোম্পানিভেদে প্রতি সিলিন্ডার এলপিজি ১ হাজার ৪০০ থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

একাধিক ভোক্তা অভিযোগ করেছেন, প্রতি মাসেই বিইআরসি এলপিজির নতুন দাম ধরে দেয়। কিন্তু দোকানে গেলে আর ওই দামে পাওয়া যায় না। এমন দাম ঘোষণা নিষ্প্রভ। বাড়তি দাম নিয়ে সংশ্লিষ্ট কমিশনে অভিযোগ করেও মিলছে না সুফল।

 

বায়েজিদ এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন জানান, আপনি বাজার ঘুরে কোথাও বিইআরসি নির্ধারিত দামে সিলিন্ডার পাবেন না। আমাদের বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। জেলা প্রশাসন বা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিপ্তরের তদারকি দরকার। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিবহন খরচ, পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকা এবং ডিলারদের কমিশন কমে যাওয়ায় তারা নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারছেন না। বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে মূল্য নির্ধারণ না করলে ঘোষিত দাম শুধুই কাগজে-কলমেই থাকবে।

 

বিশেষজ্ঞরা জানান, দাম কমার সুফল ভোক্তাদের হাতে পৌঁছাতে হলে বাজার তদারকি জোরদার করতে হবে এবং বিতরণ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে হবে। এলপিজি খাতটি এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত নয়, ফলে অনিয়মে ভোক্তাদের ভুগতে হচ্ছে।

 

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, সব জায়গায় লুটপাট, লুণ্ঠননীতির কারণে রাষ্ট্রের নাগরিকরা পদে পদে ঠকছে। কাঠামোগতভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ভঙ্গুর ও দুর্বল হয়ে পড়েছে। সরকার পরিবর্তন হয়েছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, পারবেও না।

 

নির্ধারিত দামে এলপিজি সিলিন্ডার না পাওয়ার অভিযোগের কথা স্বীকার করে বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। তবে আমাদের লোকবল কম। বাজার মনিটরিংয়ের জন্য আমাদের তো আর্ম ফোর্স নেই। তবে আমরা জেলা প্রশাসকদের এ বিষয়ে বাজার মনিটরিংয়ের কথা বলেছি।

 

পূর্বকোণ/ইবনুর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট