চট্টগ্রাম সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫

ইব্রাহিম হত্যাকাণ্ডের মূলে সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের সহযোগী রায়হান
ছোট সাজ্জাদের সহযোগী রায়হান

ইব্রাহিম হত্যাকাণ্ডের মূলে সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের সহযোগী রায়হান

নাজিম মুহাম্মদ

২৫ এপ্রিল, ২০২৫ | ১২:৫০ অপরাহ্ণ

এক মাসে তিনটি খুনের ঘটনায় সরাসরি অংশ নিয়েছেন ‘দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী’ রায়হান (৩৫)। খুন করে নগর থেকে গ্রাম দাপিয়ে বেড়ালেও কথায় কথায় গুলি ছুড়তে অভ্যস্ত রায়হানের হদিস পাচ্ছে না পুলিশ! কারাবন্দী ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের প্রধান সহযোগী হিসেবে পরিচিত রায়হান রাউজানের দক্ষিণ-পূর্ব রাউজান গ্রামের মৃত বদিউল আলমের ছেলে।

 

গত ২২ এপ্রিল দুপুর ১টায় রাউজান সদর ইউনিয়নের পূর্ব রাউজান ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গাজী পাড়ায় সিএনজি ট্যাক্সি স্টেশন এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয় ইব্রাহিম নামের এক যুবদলকর্মীকে। তিনটি সিএনজি ট্যাক্সি নিয়ে ১০-১২ জনের একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দিনদুপুরে গুলি করে হত্যা করে তাকে। তার মাথায় ও বুকে গুলি লাগে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি শর্টগানের গুলির খোসা উদ্ধার করে। নিহত ইব্রাহিম রাউজান সদর ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের মোহাম্মদ আলমের ছেলে।

 

ইব্রাহিমের চাচা আবদুল হালিম বলেন, আমরা স্টেশনে সবাই বসেছিলাম। হঠাৎ তিনটি সিএনজিচালিত ট্যাক্সিতে এসে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে থাকে। এ সময় ভাইপো ইব্রাহিমের মাথায় গুলি লাগে। সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি শর্টগানের গুলির খোসা উদ্ধার করে।

 

মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, ইব্রাহিম খুনের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। ওসি আরও বলেন, ইব্রাহিম হত্যার মূল কারিগর রায়হান। ইব্রাহিম হত্যায় রায়হান সরাসরি জড়িত। এর আগে গত ৩০ মার্চ রাত সোয়া ২টায় নগরীর চকবাজার থানার বাকলিয়া এক্সেস রোডের শেষ মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয় বখতিয়ার হোসেন মানিক ও আবদুল্লাহ আল রিফাত নামে দুই যুবককে।

 

এ ঘটনায় বখতিয়ারের মা ফিরোজা বেগম গত ১ এপ্রিল বাকলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় রায়হানসহ সাতজনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন- সাজ্জাদ প্রকাশ ছোট সাজ্জাদ, সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না, মো. হাছান, মোবারক হোসেন ইমন, খোরশেদ ও বোরহান।

 

বাকলিয়ার জোড়া খুনে তিনটি পিস্তল ও একটি শর্টগান ব্যবহারের তথ্য পায় পুলিশ। রাউজানে ইব্রাহিম খুনেও ব্যবহৃত হয়েছে শর্টগান। ধারণা করা হচ্ছে, বাকলিয়ায় ব্যবহৃত একই শর্টগান রাউজানে ব্যবহার করেছেন রায়হান।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সন্ত্রাসী সাজ্জাদের প্রধান সহযোগী রায়হান। গত ২৯ আগস্ট নগরীর অক্সিজেন-হাটহাজারীর পশ্চিম কুয়াইশে গুলি করে হত্যা করা হয় দুই বন্ধু মাসুদ ও আনিছকে। এর এক মাসের মাথায় গত ২১ সেপ্টেম্বর চান্দগাঁও অদূরপাড়া জাগরণী ক্লাব সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে গুলি করে হত্যা করা হয় ইট-বালি ব্যবসায়ী তাহসীনকে। প্রতিটি খুনের ঘটনায় সাজ্জাদের সাথে রায়হান জড়িত। সাজ্জাদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর রায়হান রাউজান চলে যান।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট