চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, বৈশাখের উৎসবে ধর্ম বর্ণ, দল মত নির্বিশেষে আমরা একাকার হয়ে যাই। আমাদের প্রাণের উৎসব বৈশাখী মেলা। বৈশাখকে উপলক্ষ করে পুরোনো দিনের সব গ্লাানি ভুলে আমরা নবযাত্রায় অঙ্গীকারাবদ্ধ হই। মেলা পার্বণ আমাদের এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। পহেলা বৈশাখ আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এটা যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বাংলা বছরের প্রথম দিন উদযাপন করেন। আমাদের এসব সংস্কৃতি বাঙালি জীবনের অনুসঙ্গ। বাংলা নববর্ষ সারা বিশ্বে বাঙালিরা উদযাপন করেন। বৈশাখী মেলা বাঙালি জীবনের আবেগ ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধন।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকালে নগরীর দেওয়ান বাজার মাছুয়া ঝর্ণা হাফিজ পার্কে বাঙলার সংস্কৃতির ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে চেরাগী চক ক্যাফে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বাঙলার প্রাচীন সংস্কৃতি বর্ষবরণ উৎসব এবং বৈশাখী মেলা গ্রামীণ জীবন ছাপিয়ে নাগরিক জীবনে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষ সকল শ্রেণি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। এ মেলা এখন জাতীয় বন্ধন উৎসবে পরিণত হয়েছে। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং নারী উদ্যোক্তাদের বিপুল সম্ভাবনার ব্যবসায়িক প্রচার ও প্রসারের জন্য বৈশাখী মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বৈশাখী মেলা শুক্রবার শুরু হয়ে শনি ও রবিবার পর্যন্ত চলবে।
মেলার আয়োজক এলিগ্যান্স আর্টের স্বত্বাধিকারী ইষা ধর মনির সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন আয়োজক কমিটির সদস্য শোভন দাশ, পাপড়ি সিকদার, মৃত্তিকা সেনগুপ্তা, মুমু নাগ, বর্ণা তালুকদার, সাবেক ছাত্রনেতা মাঈনুদ্দিন খান রাজিব, কোতোয়ালী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু সালেহ আবিদ, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জাসেম চৌধুরী, চকবাজার থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য রাশেদুল ইসলাম রিপন, দেয়ানবাজার ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মো. রনি প্রমুখ।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ