চট্টগ্রাম শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫

শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ মার্চ, ২০২৫ | ১২:৪৭ অপরাহ্ণ

সকাল থেকে রাত অবধি চলছে কেনাকাটা। ইফতারের পরপরই বিভিন্ন শপিং মলে যেন ঢল নামে ক্রেতার। শুধু নামি-দামি শপিং মল নয়, জমে উঠেছে ফুটপাতের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটাও। দোকানিরা বলছেন, শেষ পর্যায়ে এসে বেচাকেনা বেড়েছে। চাঁদরাত পর্যন্ত এমন বেচাকেনা থাকবে বলে আশা তাদের।

 

গতকাল নগরীর স্যানমার ওশান সিটি, ইউনেস্কো সেন্টার, সেন্ট্রাল প্লাজা, শপিং কমপ্লেক্স, নিউমার্কেট, তামাকুমণ্ডি লেন, মতি টাওয়ার, মতি কমপ্লেক্স, ভিআইপি টাওয়ার, আক্তারুজ্জামান সেন্টার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মানুষ এখন গ্রামমুখী। অফিস আদালত বন্ধ হয়ে গেছে। কেনাকাটা আগেই তারা সেরে নিয়েছেন। এখন যারা কেনাকাটা করছেন তারা মূলত স্থানীয় বাসিন্দা বা চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে কাছাকাছি উপজেলার মানুষজন। কিছু মানুষ এমনও আছে যারা শহরেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ করেন।

 

নগরীর অভিজাত শপিং কমপ্লেক্স স্যানমারে পরিবার নিয়ে শপিং করতে আসেন ব্যবসায়ী নাজিম খন্দকার। তিনি বলেন, কাজের ব্যস্ততার জন্য এতোদিন মার্কেটে আসতে পারিনি। এখন সবাইকে নিয়ে এসেছি। পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করবো

 

এদিকে, নগরীর বিভিন্ন সড়কের পাশে বসা ফুটপাতের দোকানগুলোর বেচাকেনা নামি-দামি মার্কেটগুলো থেকেও বেশি জমজমাট দেখা যায়। এসব ফুটপাতে প্রধান ক্রেতা হচ্ছে দিনমজুর-শ্রমজীবী মানুষজন। নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের নিউমার্কেট এলাকায় এসব হকারদের বেশি দেখা যায়।

 

এ এলাকার এক মাইলের মধ্যে সড়কের পাশজুড়ে কয়েক হাজার হকার রয়েছে। ঈদকেন্দ্রিক হকারদের এখন বেশি বেচাবিক্রি হচ্ছে। শুধু এখানেই নয়, নগরীর আগ্রাবাদ, জিইসি মোড়, দুই নম্বর গেট, চকবাজার এলাকার সড়কে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ফুটপাতের দোকানে বেচা-বিক্রির ধুম পড়েছে। এসব স্থানে হকাররা মূলত ভ্যানে করে বিক্রি বেশি করতে দেখা যায়।

 

এসব হকারদের কাছে ১০০ টাকার মধ্যে শার্ট, ২০০-৫০০ টাকার মধ্যে প্যান্ট পাওয়া যাচ্ছে। কম দামে এখানে পণ্য কিনতে পারায় ঈদের আগে দিন শেষ মুহূর্তেও বেচাকেনার ভিড় হয় বলেন ব্যবসায়ীরা। ঈদ উপলক্ষে একেকটি দোকানে প্রতিদিন ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানান তারা।

 

চকবাজার থানার গলিতে ছেলে-মেয়ের জন্য জুতা কিনতে আসেন রিকশাচালক ফয়সাল মিয়া। তিনি বলেন, আমার দুইটা জমজ ছেলে-মেয়ে আছে। তাদের বয়স ৭ বছর। তাদের জন্য কাপড় কিনেছি। এখন জুতা কিনবো।

 

রিয়াজউদ্দিন বাজারের হকার জালার উদ্দিন বলেন, ছেলেদের শার্ট প্যান্ট বিক্রি করি। সীমিত লাভে পণ্য বিক্রি করছি। এখন বেচাবিক্রি বেড়েছে। আমরা কম দামে ভালো পণ্য দিচ্ছি ক্রেতাদের। এখানে শার্ট কিনেন মনতাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ফুটপাতের দোকানে কাপড়ের দাম কম থাকে। তাই এখান থেকেই আমি কিনি। বাচ্চাদের জন্যও কিনেছি।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট