বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর অতিবাহিত হয়েছে। এতো বছরেও আমরা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারিনি। জামায়াতে ইসলামী বারবার বলেছে জাতিকে বিভক্ত করবেন না। অতীতের সব রাজনৈতিক দলের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হলো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে না পারা। ৩৬ জুলাই আবারও নতুনভাবে নতুন যাত্রায় বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখিয়েছে। ২৬ মার্চের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তথা ৩৬ জুলাইয়ে এসে।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দেওয়ানবাজারস্থ নগর জামায়াত কার্যালয়ের মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও নগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, নগর জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম-১০ (পাঁচলাইশ-পাহাড়তলী-হালিশহর) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, নগর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসাইন, কোতোয়ালী থানার আমীর মুহাম্মদ আমির হোসাইন, ডবলমুরিং থানার আমীর ফারুকে আজম, চকবাজার থানার আমীর আহমদ খালেদুল আনোয়ার, খুলশী থানার আমীর অধ্যাপক আলমগীর ভূঁইয়া, বাকলিয়া থানার আমীর সুলতান আহমদ, কোতোয়ালী থানার নায়েবে আমীর অধ্যাপক আবদুজ্জাহের, ডবলমুরিং থানার সেক্রেটারি সালাহ উদ্দিন, কোতোয়ালী থানার সেক্রেটারি মোস্তাক আহমেদ ও চকবাজার থানার সেক্রেটারি সাদুর রশিদ চৌধুরী। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আবু বকর সিদ্দিক, হামেদ হাসান ইলাহী প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী আরও বলেন, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। এটির আর কোনো বিকল্প নেই। আমরা পিছনের দিকে যেতে চাই না, সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। স্বাধীনতার ঘোষণা যিনি দিয়েছেন, আমরা তাকে স্বীকার করি। স্বাধীনতার স্থপতি যিনি তাকেও আমরা স্বীকার করি। এই স্বাধীনতার জন্য যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদেরকে আমরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে দিকনির্দেশনামূলক পথ খুঁজে দিয়েছে শহীদ আবরারের শাহাদাতের মাধ্যমে। ১ হাজার ৫৮৩ জন দামাল ছেলে ৩৬ জুলাই রক্ত দিয়েছে। যাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। আমরা আর অতীতে ফিরে যেতে চাই না। বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী, উন্নয়নমূলক, ন্যায় ইনসাফ এবং কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা নিয়ে বারবার ষড়যন্ত্র হয়েছে। ৫৪ বছর পরও সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরা হয়নি। আওয়ামী লীগই একমাত্র স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। তাদের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না। তিনি জামায়াতে ইসলামীকে ৩৬ জুলাইয়ের ১০ খণ্ড ইতিহাস রচনা করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর নজরুল ইসলাম বলেন, সপ্তম শতক থেকে বাংলাদেশের ইতিহাস লিখতে হবে। লক্ষণ সেনের মত শেখ হাসিনা পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে ছিল। ৩৬ জুলাই ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। আবরার ফাহাদ, আবু সাঈদদের চেতনায় নতুন বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে হবে।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ