চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় প্রেমিকাকে শ্বাসরোধে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক 

২৪ মার্চ, ২০২৫ | ৭:৩১ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার এলাকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে বস্তাবন্দী অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নয়ন বড়ুয়া (২৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

রবিবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে চান্দগাঁও থানার মোহরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই জানায়, ভিকটিমের নাম জোৎস্না বেগম। তিনি একজন পোশাক শ্রমিক। বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে নয়ন তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন এবং লাশ গুম করতে কম্বল পেঁচিয়ে বস্তাবন্দী করে ফেলে দেন।

 

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, নয়ন বড়ুয়া চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার বাসিন্দা। তিনি কেডিএস গার্মেন্টসে সুপারভাইজার পদে কর্মরত ছিলেন এবং দুই সন্তানের জনক। অন্যদিকে, ভিকটিম জোৎস্না বেগমও একই গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। কর্মস্থলে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

 

জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। পরে জোৎস্না বেগম নয়নকে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করতে বললে নয়ন তাতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ তৈরি হয়।

 

গত শনিবার (২২ মার্চ) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে নয়ন বড়ুয়া ক্ষিপ্ত হয়ে জোৎস্না বেগমকে গলাটিপে হত্যা করেন। হত্যার পর লাশ গুম করতে মরদেহটি কম্বল পেঁচিয়ে দড়ি ও ওড়না দিয়ে বেঁধে একটি প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে রিকশা ও অটোরিকশাযোগে লালখান বাজারের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে ফেলে দেন তিনি।

 

এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় বোন তৈয়বা বেগম খুলশী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পিবিআই জানায়, নয়ন বড়ুয়ার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

 

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট