নগরীর ব্যস্ততম এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম চকবাজার। শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই এলাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় বিপনি বিতান ‘মতি টাওয়ার’। স্বল্পমূল্যে দেশি পোশাক ও থান কাপড়ের জন্য নগরবাসীর কাছে বেশ জনপ্রিয় মার্কেটটি। আসন্ন ঈদ ঘিরে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে সেখানে। ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারাও।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে মার্কেটটি ঘুরে দেখা যায়, ঈদ ঘিরে বর্ণিল বৈদ্যুতিক বাতিতে সাজানো হয়েছে পুরো মার্কেট। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী। দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে নানা হাঁকডাকে ক্রেতাদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন কর্মচারীরা।
এদিন কথা হয় নগরীর কাপাসগোলা থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা গৃহবধূ ফারজানার সঙ্গে। তিনি বলেন, বাসার কাছাকাছি আর নির্ঝঞ্ঝাট হওয়ায় এখানে কেনাকাটা করতে আসা। মার্কেটটিতে দামও মোটামোটি কম, তাদের কালেকশনও ভালো। তাছাড়া একই মার্কেট থেকে জুতা-কসমেটিকস থেকে সবকিছু একসঙ্গে কেনা যায়।
বেচাকেনার বিষয়ে মতি টাওয়ারের ব্যবসায়ী মো. আমিন বলেন, বেচাবিক্রি ভালোই চলছে। ক্রেতাদের সাড়াও ভালো। ইফতারের কিছুক্ষণ পরেই মূলত ক্রেতাদের ভিড় বাড়ে।
মতি টাওয়ার দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নেতারা জানান, বহুতল ভবনটিতে মার্কেট হিসেবে ব্যবহৃত হয় চতুর্থ তলা পর্যন্ত। মার্কেটে সব মিলিয়ে চারশ দোকান আছে। এরমধ্যে নিচতলায় সবগুলোই পোশাকের দোকান। এসব দোকানে নারী পুরুষ ও শিশুদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি থান কাপড়ও পাওয়া যায় নিচতলায়। আর দ্বিতীয় তলায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস, প্রসাধনী ও গহনার দোকান। তৃতীয় তলায় বেশ কয়েকটি জুতার দোকান রয়েছে। তাছাড়া তৃতীয় তলায় বেশ কিছু দর্জির দোকানও রয়েছে। ক্রেতারা মার্কেট থেকে পোশাক কিনে মার্কেটেই সেলাই করতে পারেন। আর চতুর্থ তলায় রয়েছে মোবাইলের দোকান।
জানতে চাইলে মতি টাওয়ার দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জামাল উদ্দিন বলেন, মতি টাওয়ারে স্বল্প মূল্যে ভালো পোশাক পাওয়া যায়। এজন্যই ক্রেতারা মতি টাওয়ারে ঈদ কেনাকাটায় ভরসা রাখেন। একজন ক্রেতা পোশাক থেকে জুতা, গহনা সবকিছুই মতি টাওয়ার থেকে কিনে নিতে পারেন। এবার এখনও পর্যন্ত ভালো সাড়া পাচ্ছি আমরা, বেচাকেনা ভালোই।
তিনি আরো বলেন, এবার ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে দেশি পোশাক। তবে পাকিস্তানে তৈরি পোশাকের চাহিদাও আছে বেশ।
পূর্বকোণ/ইব